পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২-১৬ । যাহারা রুদ্ররূপী জামাকেও রুদ্রদৈবতা ৰোমাণ্ডা গায়ত্রীকে তপোবলে জানিতে পারবে, তাহারা নিৰ্ম্মল ও ব্রহ্মৈকুত্ববধ হইয়া পুনরাবৃত্তিধর্জিত রলোকে গমন করিবে । যখন আমি পুনরায় ভয়ানকু কৃষ্ণবর্ণ হইয়াছিলাম, মৎকৃতবর্ণ দ্বারা সেই কল্প কৃষ্ট্ৰকল্প নামে কথিত হয়। হে ব্ৰহ্মন! সেইকল্পে কালসন্ধাশ, কালরূপী, ঘোর-পরাক্রম, ম্বোররূপী এইরূপে তুমি আমাকে জ্ঞানের বিষয় করিয়ছিলে। মৎপ্রস্থত গায়ী কৃষ্ণাঙ্গী, কৃঞ্চলোহিত, কুষ্ণরূপ হইয়াছিলেন। সেই হেতুক যাহারা ভূতলে খোররূপী আমাকে জানিতে পরিবেন, তাহাদিগের সমীপে আমি শান্ত, অব্যয় ও অম্বোররূপী হইব। হে ব্ৰহ্মন । যে কালে পুনরায় আমি বিশ্বরূপ হইয়াছিলাম, সেই কালে তুমি আমাকে পরম সমাধি অবলম্বন করিয়া জ্ঞাত হইয়াছিলে, লোকাধারভূত গায়ত্ৰী বিশ্বরূপ হইয়াছিলেন ; তাহাতে র্যাহার মর্ত্যলোকে আমাকে বিশ্বরূপ বলিয়া জানিতে পারবেন। তাহাদিগের নিকট আমি মঙ্গলময় হইয়া নিরস্তর থাকিব ; যে | হেতুক এই কল্প বিশ্বরূপ নামে অভিহিত হয়। সে জন্ত সাবিত্ৰীদেবীই বিশ্বরূপ নামে উদাহৃত হন। ১৭-২৫ । তৎকালে আমার চারিট পুত্র জন্মে, মংকখিক্ত সেই পুত্ৰগণ লোকসম্মত হইয়াছিল। তত্ত্বারা গান্ধীদেবী প্রজাগণের সর্ববর্ণরূপা হইবেন এবং বর্ণাধীন সৰ্ব্বভক্ষা হইবেন ; অর্থাৎ পাতকসমূহনাশিনী যজ্ঞের উপযোগিনী হইবেন তদ্বারা মোক্ষ, ধৰ্ম্ম, অর্থ, কাম, এই চতুৰ্ব্বৰ্গ হুইবে ও বেদবেদ্য চারি প্রকার হইবে। ভূতগ্রাম চতুৰ্ব্বিধ প্রাণী, চতুৰ্ব্বিধ আশ্রম, চতুর্কীর্ণ ধৰ্ম্মের পাদ চতুষ্টয় আমার চারি পুত্র। এই সচরাচর জগৎ চতুর্মুগে ব্যবস্থিত। এই জগৎ চারি প্রকারে অবস্থিত এবং চতুষ্পাদ হুইবে । ভূর্লোক,ভুবর্লোক, স্বর্লোক, মহলোকজনলোক, আপোলোক সত্যলোক তৎপরে বিষ্ণুলোক এই লোক অষ্টাক্ষরক্ষপে অবস্থিত। তাহা ভু, ভুবঃ, স্বা, মহ, তুর্ভূক, স্বমইঃ, এই চারটা পদ স্বরূপ জানিবে। ভূর্লোক,-গায়ত্রী-দেবীর প্রথম পা, তৎপরে দ্বিতীয় পদি ভুবর্লোক, তৃতীয়পা স্বর্লোক, চতুৰ্থপা মহলোক, জনলোক পঞ্চম, জপালোক ষষ্ঠ, বলিয়া কৃতি হয়। সপ্তম গম্ভালোক অষ্টধীন মরণশূন্ত ব্যক্তিই এই লোকপ্লাপ্ত হন। পুনরাবৃত্তি-দুর্লভ স্থাৰকে বিষ্ণুলোক বলিয়ানির্ণত হয় এবং স্বাদ-স্থান স্থৰ কাঞ্জিক উৎসন্ধি স্থানকে স্বাঙ্গ স্থানকহে।. ঔষ স্থান লিঙ্গপুরাণ । যুক্ত। অহা হইতে দূরবর্তী রুদ্রলোক জানিব। সেই স্থান যোগিগণের গুস্তকর। নিৰ্ম্মল, ষ্টিরহস্কার, কাম, ক্ৰোধবর্জিত দ্বিজগণ ধ্যানতৎপর মানস ও যোগী হইলে উহা দেখিতে পাইবেন। চরম স্থান বিষ্ণুলোক । কৌমার স্থান অর্থাং পূৰ্ব্বোক্ত স্বাদ স্থান উত্তম ও শাস্তিগুণবিশিষ্ট । ঔম স্থান ও শৈব স্থান ও পূৰ্ব্বোক্ত গুণশালী সেই চতুপদ৷ গায়ত্ৰী হইতে চতুষ্পদ পশুগণ এবং তাহাদিগের চারটা পয়োধরও হইবে। যেহেতুক মদীয় মুখগলিত মন্ত্রযুক্ত সোমই প্রাণভূংগণের জীবনদাতা; সেই জন্ত সেই পশুগণ সময়াস্তরে পীতস্তনা এই নামে স্কৃত হইবেন। ২৬–৪০ । সেই হেতুক সোমময় অমৃতই জীবনামক। জীবের সোমরূপতা হইবে। তাহারা চতুপদ ও দুগ্ধের শ্বেতত্ব হইবে। যখন দ্বিপদী গায়ত্রী ক্রিয়ারূপ হইয়৷ দুষ্ট হইবেন এবং লোকের উৎপত্তিজনিক ও জননী হইবেন, তখনই সকল নরগণ দ্বিপদ দ্বিস্তন হুইবে । ইনি অঙ্গ হইয়া সকল জীবের আধারভুত, সৰ্ব্ববণ স্বরূপ হইলে ইহাকে তুমি যখন দর্শন করিবে, তখনই আমি বিশ্বরূপ হইব । যখন মহাতেজ অমোঘরেত বিশ্বরূপ হইবেন ও যখন ইহার হুতাশন মুখবৃত্তি হইবে তখনই পগুরূপী হুতাশন সৰ্ব্বগত হইয়৷ মেধ্য অর্থাৎ যজ্ঞার্থ হইবেন। যে দ্বিজগণ তপোবলে ভাবিতাত্মা হুইয়া ঈশিত্ব ও বশিত্ব অবলম্বনে সৰ্ব্বগ ও সৰ্ব্বস্থানে অবস্থিত আমাকে দর্শন করিবে, সেই দ্বিজগুণ রজস্তমোগুণরহিত হইয়া মানুষশরীর পরিত্যাগপূর্বক পুনরাবৃত্তিদুর্লভ মৎসমীপে আগমন করবে। হে দ্বিজগণ ! ভগবান ব্রহ্ম রুদ্র কর্তৃক এইরূপ অতিহিত হইয়া প্রযতভাবে প্রণামপুৰ্ব্বক পুনরায় তাহাকে কহিতে লাগিলেন, হে ভগবন! যে পুরুষ এই রূপ গায়ত্রী দ্বারা সৰ্ব্বময় ও বিশ্বরূপ তোমাকে জানিতে পারিবেহে ঈশ্বর ! সেই গায়ত্রী পদ সেই পুরুষকে দান কর; অনস্তর মহেশ্বর তথাস্ত এই কথা বলিলেন। ধে ব্যক্তি “গায়ত্ৰী বিশ্বরূপ ও মহেশ্বর বিশ্বরূপ" এইরূপ জ্ঞাত হয়েন সেই ব্যক্তিই ব্রহ্মরূপ শিববচনাধীন, ব্রহ্মসাযুজ্য লাভ করেন। ৪১-৫১ ৷ ত্রয়োবিংশ অধ্যায় সমাপ্ত । চতুৰ্ব্বিংশ অধ্যায় হুক্ত কছিলেন, ব্রহ্ম রুদ্র পরিভাষিত সমস্ত শ্রবণ করিয়া পুনরায় তাহকে কহিলে, হে ভগবন! হে দেবেশ মহেশ্বর , উমাঞ্চল হে লোকবদিত।