পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

德, স্বীয় স্বীয় বিচিত্র বলয় ও বন্ধুজন পরিত্যাগপূৰ্ব্বক গমন করিতে লাগিল । তৎকালে তাহাদিগের নববসন স্থলিত হইল। তখন গলিতবস্ত্রা দিগম্বর কোন কামিনী তাঁহাকে দেখিয়াও জানিতে পারিল না। মনোন্মত্তা অন্ত অন্ত কামিনীগণও শাখাসুশোভিত, সুপ্রসিদ্ধ পাব অথবা বন্ধুজন কিছুই জামিতে সমর্থ श्न नाझे । cश् श्छिनखभ ! उलमरुद्र ¢कए ८कए র্তাহার উদ্দেশে গান করিতে আরস্ত করিল, কেহ নৃত্য করিতে লাগিল, কেহ বা ধরাতলে শয়ন করিল। কেহ হস্তিনীর স্তায় গমন করিতে, কেহ বা কিছু বলিতে, লাগিল । ১০-১৮ । কোন কোন কামিনী ঈষৎ হাস্ত করিয়া পরস্পরে অবলোকন ও আলিঙ্গন করিতে লাগিল এবং মহাদেশের পথ রোধ করিয়া নানা কৌশল প্রদর্শন করাইতে আরম্ভ করিল। কেহ বলেন আপনি কে ? কেহ বা বলিল, এইখানে উপবেশন করুন, কোথায় যাইতেছেন, আমাদিগের প্রতি প্রসন্ন হউম। রমণীগণ পুলকিতচিত্তে এইরূপ কথোপকথন করিতে লাগিল। দেবদেবের মায়াবলে পতিব্ৰতা কামিনীগণও বিগলিত-বস্ত্রা ও গলিতকেশ হইয়া পতিসন্নিকটে বিপরীত ভাবে পতিত হইতে লাগিল। ক্ষয়বিকৃতি-রহিত ভগবান মহাদেব সেই রমণীগণের আচরণ ও বাক্য দর্শন ও শ্রবণ করিয়া শুভাশুভ কিছুই বলিলেন না। ব্রহ্মর্ষিগণ তাদৃশ্যবস্থাপন্ন নারীগণ ও বিকৃতাকার শঙ্করকে অবলোকন করিয়া নিতা নিষ্ঠুর বাক্য প্রয়োগ করিতে আরম্ভ করিলেন। স্বৰ্য্যোদয়ে আকাশস্থ তারকারাশির স্তায় শঙ্করের আগমনে তাহদের তপস্থা দূরীভূত হইল। কথিত আছে, মহাত্মা ব্ৰহ্মার বহুমঙ্গলাকর ষজ্ঞ ঋষিশাপে বিনাশ প্রাপ্ত হইয়াছিল এবং ভৃগুমুনির অভিসম্পাতে মহাবীৰ্যশালী বিষ্ণুও দশবার পৃথিবীতে অবতীর্ণ হইয়া চিরতুঃখ ভোগ করিতে বাধা হইয়াছিলেন। হে ধৰ্ম্মজ্ঞ পুৰ্ব্বকালে গৌতম মুনির ক্রোধে দেবরাজ ইন্দ্রেরও লিঙ্গ ছিন্ন ও ভূতলে পতিত হইয়াছিল। প্ৰধাগের অভিসম্পাতে বহুদিগের মনুষ্যযোনি ও লহুধরাজের সর্প গ্রাপ্তির বিষয়ও কথিত আছে। ১৯—২৮। ব্রাহ্মণগণ সৰ্ব্বা নারায়ণশ্ৰিত অমৃত্বা ধার করো সমুদ্রকেও জপে করিয়াছিলেন। স্বয়ং ভগবানূ টারি মহান বারাণসী নগরীতে অৰিমুক্তেশ্বর নামক দেবদেব ক্রম্বকলিঙ্গ ছাভিষিক্ত করত अंशद्र प्रशब्रिडे चमृण्डूना इश गहेब भक्रम अंकসহকারে, মুনিগণ ও ব্রন্ধ দ্বারা অভিষেক কল্পত ক্ষীরোদ লিঙ্গপুরাণ সমুদ্রকে পুনরায় আপনার বাসযোগ্য করিয়াছিলেন। ধৰ্ম্ম, মহাত্মা মাগুব্য কর্তৃক অভিশপ্ত হন।" . কৃষ্ণায়কে কৃষ্ণদ্বৈপায়ন এবং দুৰ্ব্বাসাদি ঋষিগণ শাপ প্রদান করেন। সমুদ্র রাধ মহাত্মা দুৰ্ব্বাসার শাপগ্ৰস্ত হন। বিষ্ণুও কুজ্ঞানী ভৃগুমুনির পদাঘাত সহ করিয়াছিলেন। ইহার এবং দেবদেৰ উমাপতি বিরূপাক্ষ ভিন্ন অনেকেই ব্রাহ্মণের বস্ততা প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। এইরূপে শৈবমায়ামুগ্ধ মুনিগণ ভগবান শঙ্করকে জানিতে না পারিয়া কঠোর বাক্য বলিতে আরম্ভ করিলেন। মহাদেবও অস্তৰ্হিত হইলেন। সেই দুৰ্ব্বলচেত মুনিগণও নিতান্ত উদ্বিগ্নচিত্তে প্রাতঃকালে দারুবন হইতে উংকৃষ্ট আসনসীন মহাত্মা পিতামহসন্নিধানে গমন করিয়া দেবদেবের দারুবনাশ্রিত কাৰ্য্যসকল নিবেদন করিলেন। ভগবান ব্রহ্ম, ক্ষণকাল মাত্র মুনিগণের দারুবনাশ্রিত কাৰ্য্যকলাপ স্মরণ করত উত্থিত হইয়া কৃতাঞ্জলিপূর্বক শঙ্করকে প্রণাম করিলেন এবং অবিলম্বেই দারুবনাশ্রিত মুনিগণকে বলিতে আরম্ভ করিলেন ;—হে মুনিগণ! তোমাদিগকে ধিকৃ, তোমরা নিতান্ত ভাগ্যবিহীন, যেহেতুক তোমরা উৎকৃষ্ট নিধি প্রাপ্ত হইয়াও তাহার মৰ্ম্ম বুঝিতে পারিলে না, তোমাদিগের জীবন বৃথা। ১৯–৪১ । সংসারধৰ্ম্মবলম্বী তোমরা দারুবনে বিকৃতাকারধারী যে পুরুষকে দেখিয়াছ, তিনিই পরমেশ্বর ; হে ব্রাহ্মণগণ! অতিথি বিরূপ, মুরূপ, মলিন বা মুখ, যাহাই হউক, গৃহস্থের কখন তাহাদিগকে ঘৃণা করিবেন না । পুৰ্ব্বকালে পৃথিবীতলে দ্বিজাগ্রগণ্য সুদৰ্শন মুনি অতিথিসেবার বলে কালমৃত্যুকেই জয় করিয়াছিলেন। পৃথিবীতলে অতিথিসেবা ব্যতীত গৃহস্থ ব্রাহ্মণদিগের উদ্ধার বা আত্মশোধনের আর উপায়ান্তর নাই। সুবিখ্যাত সুদৰ্শন মুনি গৃহস্থ হইয়াও মৃত্যু জয় করিতে প্রতিজ্ঞা করিয়া, পতিব্ৰত ভাৰ্য্যাকে এইরূপ বলিয়াছিলেন ; হে সুব্ৰতে ! হে সুভ্ৰ ! হে সুভগে! যত্বপূর্বক আমার বাক্য শ্রবণ কর, তুমি কখনও গৃহাগত অতিথিদিগকে অবমানিত করিও না। সকল অতিথিই সাক্ষাৎ মহাদেবম্বরূপ ; অতএব আত্মা দান করিয়াও অতিথি সেবা করিবে । সেই পতিব্ৰতা কামিনী এইরূপ কথিত হইয়া সস্তপ্ত ও বিবশ হইলেন এবং ক্ৰন্দন করত কহিতে লাগিলেন -হে প্ৰভো! আপনি কি বলিলেন। সুদর্শন তাহার সেই বাক্য শ্ৰবণ করিয়া পুনৰ্ব্বার বললেন, অতিথি স্বয়ং মহাদেবস্বরূপ; অতএব আর্ঘ্যে ! সেই শিবতুল্য অতিথিকে সকল বস্তুই দান করা উচিত। তুমি সৰ্ব্বদ সকল