পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূৰ্ব্বভাগ । করবেন। তিনি এইরূপে বিংশতি বৎসর পর্যটন করিয়া, শর্ত সহস্র প্রাণীর বিনাশ সাধন করিবেন এবং পরস্পর মিমিত্তভূত আকস্মিক কোপ উৎপাদনে সকল শূদ্র প্রভৃতি অধাৰ্ম্মিকগণকে সংহার করত পৃথিবীকে বীজশেষ করিয়া গঙ্গা-যমুনার মধ্যস্থলে সানুচরে অবস্থান করবেন। তাহার পর কিছু নি গত হইলে, অমাত্য ও লৈনিকগণের সহিত মিলিত হইয়৷ সহস্ৰ সহস্ৰ ম্লেচ্ছ ও রাজগণকে উৎসাদিত করিবেন। এইরূপে কোনও স্থলে প্রজা অল্পমাত্র অবশিষ্ট থাকিলে, যখন সন্ধ্যাংশ উপস্থিত হইবে , তখন সেই অবশিষ্ট প্ৰজাগণ উচ্ছম্বল ও লোভাবিষ্ট হইয়া পরম্পর পরস্পরের বিশ্বাস জন্মাইয়া পরস্পরের হিংসায় প্রবৃত্ত হইবে। যুগের প্রভাববলে পৃথিবী অরাজক হইলে চতুর্দিকে সংশয় উপস্থিত হইবে ; তখন অবশিষ্ট প্রজাগণ পরস্পরে ভয়ার্ড হইয়া, স্বীয় পত্নী গৃহ প্রভৃতি পরিত্যাগ করত নির্দয় হৃদয়ে আপন প্রাণে পৰ্য্যস্ত আস্থা পরিত্যাগ করিয়া ব্যাকুল হৃদয়ে ইতস্ততঃ পারভ্রমণ করিতে থাকিবে। সে সময় শ্রেীত-স্মাৰ্ত্তাদি ধৰ্ম্ম বিনষ্ট হইবে, সুতরাং তখন পরস্পরে নিহত হইতে থাকিবে ও আপন মর্ধ্যাদবিহীন হইবে । তাহাদিগের স্নেহ বা লজ্জা কিছুইথাকিবে না, ধৰ্ম্ম বিনষ্ট হইলে তাহার নিস্তেজ হইয় পড়িবে ও এতাদৃশ হ্রস্ব হইবে যে, পঞ্চবিংশতি-অঙ্গুলিপরিমিত তাহাদের আকার হইবে এবং স্বীয় পুত্ৰদারাদি পরিত্যাগ করিয়া নিয়ত বিবাদে ব্যাকুলেক্রিয় হইবে। তখন অনাবৃষ্টি হইতে থাকিবে; তাহাতে তাহারা সাতিশয় পীড়িত হইয়া স্ব স্ব বৃত্তি পরিত্যাগ করত স্বীয় জনপদ ত্যাগ করিয়া ম্লেচ্ছদেশে গমন করিবে এবং সরিং সাগর কুপ পৰ্ব্বত প্রভৃতি আশ্রয় করিবে। মধু মাংস ফল মূলাদিতে জীবিকা নিৰ্ব্বাহ করিবে ; চরখণ্ড কৃষ্ণসারচর্শ্ব প্রভৃতি পরিধান করিবে ; এইরূপে নিঞ্জয়, নিম্পরিগ্রহ ও বর্ণাশ্রমপরিভ্রষ্ট হুইয়া ঘোরসঙ্কটাপন্ন হইবে এবং সেই অঙ্গশেষ প্রজাগণ দারুণ কষ্ট পাইতে থাকিবে; জরাবাধি-ক্ষুধাদিতে নিয়ত ক্লেশ পাইতে থাকিবে ; অবশেষে দুঃখে নিৰ্ব্বিগ্নমনা হইয়া নিৰ্ব্বোধশতঃ সমান অবস্থা জানিতে পরিবে; সেই সাম্যাবস্থাজানে ধৰ্ম্মে তাহাদিগের প্রবৃত্তি হইবে ; তখন সেই অবশিষ্ট প্ৰজাগণকুৎসিৎকার ও শক্তিহীনভাবশতঃ শমাবলম্বী হইবে। পরে ঐ কলিনুক্ষসেই প্ৰজাগণের খুণ্ডও ¢oት মত্ত ব্যক্তির স্থায় অহোরাত্রে নিরস্তর চিত্তের মোহ জন্মাইয়া নিবৃত্ত হইবে। পরে ভাবী অর্থের গৌরবে সত্যযুগ পুনরায় প্রবৃত্ত হইবে। সেই সত্যযুগ পুনরায় প্রবৃত্ত হইলে, কলিযুগের অবশিষ্ট প্রজাগণ সত্যযুগের লোক হইবে। তখন এই ভারতভুমে ষ্ণে সপ্তসিদ্ধ অদৃষ্টাৰে থাকিবেন, তাহার। সপ্তর্ষিগণের সহিত মিলিত হইয়া সেই সত্যযুগে বিচরণ করিতে থাকিবেন। এবং ঐ সত্যযুগে বীজভূত যে সকল ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈঙ্গ, শূদ্ৰ থাকিবেন, তাহারা সেই সকল কলিযুগজাত ব্যক্তির সহিত সমান হইবেন। সপ্তর্ষিগণ ও অন্তেও তাহাদিগকে বর্ণাশ্রমাচারযুক্ত শ্ৰেীত-স্মার্জ এই দুই প্রকার ধৰ্ম্ম উপদেশ দিবেন। এইরূপে সপ্তর্ষিগণ শ্রেীতস্মাৰ্ত্ত-কৰ্ম্মের ধৰ্ম্ম উপদেশ প্রদান করিলে, তখন সেই প্রজাগণ, অনুষ্ঠানবান হইবে ও তাহাতে প্রজাসকল বৃদ্ধি পাইতে থাকিবে। ৫০—৭৯। ঐ কলিযুগের শেষে ধৰ্ম্মব্যবস্থাপকগণ গৃঢ়ভাবে অবস্থান করিবেন, কেননা এক এক মন্ধস্তরের অধিকার সময় পৰ্য্যন্ত সেই মুনিগণ অবস্থিত থাকেন। যেরূপ দাবাগ্নিতে তৃণ সকল দগ্ধ হইলে পরে পৃথিবীতে বৃষ্টি পতিত হইলে সেই সকল দগ্ধ তৃণমূল হইতে আবার তৃণ সকল উৎপন্ন হয়, সেইরূপ ঐরূপে কলিযুগজাত মনুষ্যসকল বিনষ্ট হইলে আবার সত্যযুগে প্রজাগণ উৎপন্ন হইয়া থাকে। যে পৰ্য্যন্ত না মন্ধস্তত্ব বিনষ্ঠু হয়, সেই পৰ্য্যস্ত এইরূপ পরস্পর একযুগের পর অপরযুগ এই অব্যবচ্ছেদে যুগসস্তান চলিতে থাকে। মুখ, আয়ু, বল, রূপ, ধৰ্ম্ম, অর্থ, কাম, এ সকল যুগে যুগে তিনপাদ করিয়া ক্রমশঃ ক্ষয় প্রাপ্ত হইয়া থাকে। যুগে ও সন্ধাংশের মধ্যে ধৰ্ম্মসিদ্ধি সকল বিনষ্ট হইয়া থাকে। ইহাই প্রতিসিদ্ধি নামে কথিত হইয়া থাকে, ঐ নিয়মানুসারেই যথাক্রমে যুগচতুষ্টয়ের সাধন হইয়া থাকে। এই যুগচতুষ্টয়ের সহস্র বাল্প পুনঃপুনঃ আবৰ্ত্তন হইলে ব্ৰহ্মার এক দিবা ; এবং ঐ প্রকার পুনরায় যুগচতুষ্টয়ে সহস্ৰ গুণ পুনঃপুনঃ আবৃত্তি হইলে ব্রহ্মার একরাত্রি হয়। যে পৰ্য্যন্ত না যুগক্ষয় হয়, সে পৰ্য্যস্ত ভূতগণের কুটিঙ্গতা ও আলস্ত বৃদ্ধি পাইতে থাকে। ইহাই সকল যুগের লক্ষণ। এই যুগচতুষ্টয়ের এক সপ্ততিবার ক্রমে প্রত্যাবৰ্ত্তন হইলে এক এক মন্বস্তুর হুইয়া থাকে। এক যুগচতুষ্টয়ে যে সময়ে যাহ উৎপন্ন হুইবে, তাহ জক্ট বুধচতুষ্টয়ে ও সেইরূপ সেই সময়ে যথাক্রমে উৎপন্ন হইবে। প্রতি স্থাতে শান্ড