পাতা:শকুন্তলা - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (১৮৭৫).pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ

রাজা, মাধব্য সমভিব্যাহারে সমস্ত সৈন্য সামন্তু বিদায় করিয়া দিয়া, তপস্বিকার্য্যের অনুরোধে তপোবনে অবস্থিতি করিলেন; কিন্ত‍ু দিন যামিনী কেবল শকুন্তলাচিন্তায় একান্ত মগ্ন হইয়া দিনে দিনে কৃশ, মলিন, দুর্বল, ও সর্ব্ববিষয়ে নিতান্ত নিরুৎসাহ হইতে লাগিলেন। আহার, বিহার, শয়ন, উপবেশন কোনও বিষয়েই তাঁহার মনের সুখ ছিল না। কোন সময়ে কোন স্থানে গেলে শকুন্তলাকে দেখিতে পাইব, নিয়ত এই অনুধ্যান ও এই অনুসন্ধান। কিন্তু, পাছে তপোবনবাসীরা তাঁহার অভিসন্ধি বুঝিতে পারেন, এই আশঙ্কায় তিনি সতত সাসিশয় সঙ্কুচিত থাকেন।

 এক দিন, মধ্যাহ্ন কালে, রাজা নির্জনে উপবিষ্ট হইয়া ভাবিতে লাগিলেন, শকুন্তলার দর্শন ব্যতিরেকে আর আমার প্রাণরক্ষার উপায় নাই। কিন্তু তপস্বীদিগের প্রয়োজন সম্পন্ন হইলে, যখন তাঁহাৱা আমায় রাজধানীগমনের অনুমতি করিবেন, তখন আমার কি দশা হইবেক; কি রূপে তাপিত প্রাণ শীতল