পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (পঞ্চম সম্ভার).djvu/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেনা-পাওনা ষোড়শী মাথা নাড়িয়া কহিল, দরকার নেই, আমি নিজেই খুজে নিতে পারব | তুমি কিন্তু কোন কারণে কোথাও দেরি ক’রো না । আজ্ঞে না, আমি যাব আর আসব, বলিতে বলিতে এককড়ি দ্রুতবেগে বাহির হইয়া গেল । من সন্ধান করিয়া রান্নাঘর হইতে যখন ষোড়শী বোতলে জল গরম করিয়া আনিয়া উপস্থিত করিল, তখনও লোক-জন কেহ ফিরিয়া আসে নাই । সীবানন্দ তেমনি উপুড় হইয়া পড়িয়া। সে পদশকে মুখ তুলিয়। চাহিয়া বলিল, তুমি ? ডাক্তার আসেনি ? ষোড়শী কহিল, এখনও ত তাদের আসবার সময় হয়নি । বলিয়। সে হাতের বোতল দু’টা শয্যার একধারে রাখিয়া দিল । জীবানন্দ কথাটাকে ঠিক যেন বিশ্বাস করিতে পারিল না ; কহিল, এখনও আসবার সময় হয় নি ? ডাক্তার কতদূরে থাকেন জানো ? ষোড়শী কহিল, জানি, কিন্তু পনের মিনিটের মধ্যেই কি আসা যায় ? জীবাননা নিশ্বাস ফেলিয়া বলিল, সবে পনের মিনিট ? আমি ভেবেছি দু’ঘণ্ট। তিন ঘণ্টা, কি আরও কতক্ষণ যেন এককড়ি তাকে আনতে গেছে । হয়ত তিনিও ভয়ে এখানে আসবেন না অলকা! এই বলিয়া সে চুপ করিয়া আবার উপুড় হইয়া শুইল। তার কণ্ঠস্বরে এবং চোখের দৃষ্টিতে ব্যাকুল নিরাশ্বাসের কোথাও ষেন আর শেষ রহিল না । ষোড়শী ক্ষণকাল মৌন থাকিয়া স্নিগ্ধ-স্বরে কহিল, ডাক্তার আসবেন বৈ কি। গরম জলের বোতল ততক্ষণ টেনে নিন না ? জীবানন্দ তেমনিভাবেই মাথা নাড়িয়। বলিল, না, ও থাকৃ। ওতে আমার কিছু হয় না, কেবল কষ্ট বাড়ে । ষোড়শী সহসা কোন প্রতিবাদ করিল না। এই উপায়হীন রোগগ্রস্ত লোকটির মুখ হইতে তাহার নিজের শিশুকালের নামটা এতক্ষণ পরে যেন এই প্রথম তাহার কানে কানে গুন্‌ গুৰু করিয়া কি একটা অজানা রহস্তের অর্থ বলিবার চেষ্টা করিতে লাগিল। বোধ হয় ইহাতেই মগ্ন হইয়া সে নিজের ও পরের, স্বযুখের ও পশ্চাতের সমস্ত ভুলিয়া গিয়া অভিভূতের স্কায় দাড়াইম্বা ছিল, হঠাৎ জীবানন্দের প্রশ্নেই তাহার हज श्ल । देश*