পাতা:শিক্ষক (বরদাকান্ত মজুমদার).pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম অধ্যায়। বিদ্যাশিক্ষা । যদ্বারা জ্ঞান প্রাপ্ত হওয়া যায় তাহাকে শিক্ষা কহে । মনোরাজ্যে নানাবিধ বৃত্তি আছে ; তৎ সমস্ত পরিচালম করিয়া উৎকর্ষতা লাভের প্রধান উপায় বিদ্যাশিক্ষা । যেমন সুরম্য পুষ্পোদান মুকর্ষিত না ছইলে অবহেলা ক্রমে হীনজী হইয়া পরিশেষে বিবিধ বিষাক্ত বৃক্ষোৎপাদন করে, তজপ মানসিক বৃত্তির পরিচালনা না করিলে মমব্যের প্রকৃষ্ট স্বভাবের অপরুব হইয়া জীবন মুখত জনিত পাপে কলঙ্কিত হয়। মুখতার প্রথম ফল সাংসারিক কষ্ট । মুর্থ ব্যক্তি দরিদ্র হইলে ধনেপার্জনে অক্ষম হুইয়া বিবিধ দৈছিক ও মানসিক দুঃখে পতিত হয়। আত্মীয় ব্যক্তির অনাদরভাজম হুইয়া লাভের মধ্যে কোন শ্রেণীর লোকের গণনার মধ্যে পতিত ছয় না। ঐশ্বৰ্য্যশালী ব্যক্তি অজ্ঞ হইলে, আশু সুখদ ইন্দ্রিয় চরিতার্থে শীঘ্রই ধন নষ্ট করির দারিদ্র্যদোষে দূষিত হন। অধীনস্থ কর্মচারীগণ অনায়াসেই ধন হরণ করে। এইরূপে কিছুকাল মধ্যে নিঃস্ব হুইয়া ঘোর বিপদে পতিত হন। দ্বিতীয়তঃ । অশিক্ষিত ধনাঢ্য ব্যক্তি আশৈশব ইন্দ্রিয় পরায়ণ ও হুর্মার্গগামী হইয়া প্রকৃত স্বভাব এত অপক্লষ্ট করিয়া ফেলেন যে, পরিণামে আর কিছুতেই সম্মাগাবলম্বন করিতে পারেন না। অভ্যাসের এমনি দোষ যে, সেই সমস্ত পাপাচরণ ক্রমে ক্রমে স্বভাবগত হইয়া এক প্রকার অত্যজ্য হইয় উঠে; ইচ্ছা করিলেও ত্যাগ করিতে পারেন না। সুতরাং ধনের নিতান্ত আবশ্যক হইয় উঠে । স্ববিজ্ঞ যতদূর থাকে তাহ নষ্ট করিয়া পরিশেষে মিথ্যাচরণ, শঠতা ইত্যাদি প্রবঞ্চনার কার্য্য দ্বারা অপরের ধন অপহরণ করিতে চেষ্টা করেন। দেশে “ কুলাঙ্গার ” উপাধি ঘোষিত হয় ।