পাতা:শিক্ষক (বরদাকান্ত মজুমদার).pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায়। *३१ সাৰধান ! ইহাদিগের মায়াজালে যেন নিপতিত হইতে না হয় । ইতিহাস পাঠে অবস্থাঘটিত দূরদর্শিত প্রাপ্ত হওয়া যায় ; পার্থিব প্রধান প্রধান লোক, কোম্ অবস্থায় পতিত হইয়া কি রূপ কাৰ্য্য করিয়াছেন এবং পরিণামে তাহার কি ফলোৎপত্তি হইয়াছে, এই সকল বিষয় ইতিহাসে উত্তমরূপে বিবৃত আছে । ঐতিহাসিক জ্ঞান লব্ধ থাকিলে অনেক কার্য্যে প্রবিষ্ট হইয়। সদসৎ বিবেচনা করা যাইতে পারে। কিন্তু কেবল মাত্র পুস্তকগত জ্ঞান দ্বারা দুরদর্শিত প্রাপ্ত হওয়া যায় না ; দৈনিক পার্থিব ঘটনাবলির প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রাখা কৰ্ত্তব্য । (৫ ) বালকের ন্যায় চঞ্চলমতি হইলে কাৰ্য্যক্ষেত্রে কৃতকাৰ্য্য হওয়া যায় না। সাংসারিক ঘটনাবলি এত অসামঞ্জস্য, এত দুৰ্দম্য যে, ঐকমত্য ভিন্ন নিরাপদে অবস্থিতি করা অসম্ভব । অতএব সংসারে প্রবিষ্ট হইবার পূৰ্ব্বে, কি হইবামাত্র মত স্থির করা নিতান্ত বৈধ। অদ্য এক প্রকার, কল্য অার এক প্রকার কার্য্য করিলে মানসিক দেীৰ্ব্বল্যের একশেষ প্রকাশিত হয়। দ্যায়, ধৰ্ম্ম এবং অবস্থা পর্যাগলোচনা করিয়া সমভাবে সৰ্ব্বকার্য নিষ্পন্ন করা কর্তব্য ; হঠাৎ কিছুতে মোহিত, কি বিচলিত হওয়া গৰ্হিত। লোকে যদি তোমাকে দুৰ্ব্বলাত্মা বলিয়া জানে, তবে অনায়াসেই তোমাকে প্রতারিত করিয়৷ ইষ্ট সাধন করিতে পারে । যিনি যাহা বলিতে ইচ্ছা করেন, মনোযোগের সহিত তৎসমস্ত শ্রবণ না করিলে সকল বিষয়ের তথ্য জ্ঞাত হওয়া যায় না ; কিন্তু সকলের বাক্যে প্রত্যুত্তর কি অভিমত ব্যক্ত করা কর্তব্য নহে। যদি উত্তর দিবার উপযুক্ত হয় তৎক্ষণাৎ সেই কথার শেষ করা কৰ্ত্তব্য ; নতুবা কোন রূপ ভাব প্রকাশ না করিয়া মনে ধারণ করিতে হইবে। কোন প্রকারে মানসিক ভাব অসময়ে ব্যক্ত হইলে, লোকে অনায়াসেই প্রতারণা করিতে পারে। পক্ষান্তরে কাৰ্য্য বিশেষে কারণ প্রকাশ করা কৰ্ত্তব্য। যে কাৰ্য্যের কারণ গুহ্যতা · নিবন্ধন নিন্দনীয় হইবার সম্ভব, অথবা অবস্থাবিশেষে, অপরপক্ষ আমাদিগকে বুঝিতে না পারায় ক্ষতি হইবার সম্ভব, তাহারই কারণ