পাতা:শিক্ষক (বরদাকান্ত মজুমদার).pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিক্ষক। بچه উত্তমরূপে প্রকাশ করিতে হুইবে । সৰ্ব্বকার্ষ্যের কারণ বিরত হইলে অনেক স্থলে বিফল-মনোরথ হইতে হয়। (৬) অনেক সমৃদ্ধিশালী ব্যক্তি অহঙ্কারের বশাধীন হুইয়া লোকের সহিন্ত সদালাপ করেন না ; বরং কখন কখন তাচ্ছিল্য করিয়াও থাকেন। ইহা নিতান্ত অবৈধ। যিনি যাদৃশ ব্যক্তি হউন, অভ্যাগতের যথোচিত সৎকার না করা অতীব দুষণীয়। কেহ সাক্ষাৎ করিতে আগত হইলে, মর্যাদানুসারে তাহার সহিত সদালাপ, শিষ্টচার এবং ভদ্র ব্যবহার করা কৰ্ত্তব্য । অধিক কি, স্বীয় অধীন বর্গের প্রতিও রূঢ় ব্যবহার বিহিত নহে। বাক্য মধুরতার ঈদৃশী মোহিনী শক্তি যে, ভূয়িষ্ট রজত কাঞ্চন দ্বারা যাহাকে বশীভূত কর। কঠিন, সেও সুমধুর বাক্য দ্বারা চিরবাধিত থাকে। অপিচ, অধীনের প্রতি সতত কর্কশ ব্যবহার করিলে, তাহার প্রভুভক্তির হ্রাস হয় । সুতরাং তদ্বারা সুচাৰুরূপে কাৰ্য্য নিৰ্ব্বাহ হয় না । চতুর্থ অধ্যায়। রাজ-কাৰ্য্য। ১ম পরিচ্ছেদ—প্রজাপলিন । এাগুক্ত প্রস্তাবাবলিতে আত্মোৎকর্ষ বিধায়ক নানাবিধ উপদেশ প্রকটিত হইয়াছে। এক্ষণ রাজকাৰ্য সম্বন্ধীয় কৰ্ত্তব্যাবলির প্রসঙ্গ করা বাইতেছে। ভিন্ন ভিন্ন প্রকৃতিস্থ বহুবিধ মমৃষ্যের উপর প্রভুত্ব রাখিয়া তাহাদিগের মনোরঞ্জন এবং অভাব মোচন করা অতীব দুরূহ ব্যাপার। স্বকীয় মানসিক বৃত্তি পরম্পর স্বশাসিত না হইলে, ঈদৃশ গুৰুতর তার কখন ধারণ করা যায় না ; সুতরাং শাসন পরায়ণ ব্যক্তিরা যেন রাজকর্ধ্য সম্পাদন কালে অতীব সাবধানের সহিত দোষাদোষ নিদেশ করেন ।