পাতা:শিশু-ভারতী - অষ্টম খণ্ড.djvu/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাক্ষস বিবাহ এই যে, হাটিয়ায়—যদি কোন যুবক সাঁওতাল কোন যুবতীকে ভালবাসে অথচ যুবতী তাহাকে বিবাহ করিতে চাহে না, তখন সাওতালযুবক কিছু সিন্দুর লইয়া যুবতীর কপাল ও সিথিতে দিবার চেষ্টা করে এবং একটু কাক বা সুবিধা পাইলেই সে ঐ যুবতীর কপালও সিধিতে সিন্দুর দিয়া চলিয়া যায় । সিন্দুর দেওয়া হইলে যুবতী আর কাহাকেও বিবাহ করিতে পারিবে না বলিয়া এ ব্যাপার তাহার অভিভাবকের কর্ণগোচর হয় । অভিভাবক পরবত্তী হাটে একটি ভগ্ন শাখা হস্তে আসে। ভয় শাখা দেখিলেই হাটের সাওতালরা তাহার এইরূপ বিপদের কথা বুঝিতে পারে এবং তাহাকে নানারূপ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিয়া তাহারা পঞ্চাইত দ্বারা তাহার বিচার বসাইবার ব্যবস্থা করে। পঞ্চাহতের আদেশ মতে যুবককে সভায় হাজির করা হয় এবং যথারীতি বিচার হইয়া ঘোষী ব্যক্তির জরিমানা হয়। পঞ্চাইতের আদেশ মত যুবক জরিমানা ও নিৰ্দ্ধারিত পণ ছিলে কন্যাপক্ষ বরপক্ষকে কষ্ট সম্প্রদান করে। খুবক আদেশ অমান্ত করিলে তাহারা তাহাকে সমাজচ্যুত করে । সাওতাল জাতির ভিতর স্বাধীনতা লক্ষিত হয়। স্ত্রী-পুরুষ, যুবক-যুবতী অনেক ক্ষেত্রে একসময়ে সকলে মিলিয়া খাওয়া-দাওয়া এবং চলাফেরা করে । অনেক সময় ধারে বিবাহ হইলেও পরে কন্যাপক্ষকে দেয় পণ দিতে হয় । কিন্তু বর তাহা দ্বিতে না পারিলে অনেক সময় মেয়ে বরকে ছাড়িয়া বাপের বাড়ী ফিরিয়া আসে এবং অন্য স্থানে বিবাহ করে । কোন ঘরে ছেলে হইলে ইহার সেই ঘরকে "নোতাঘর’ বা কামানঘর’ বলে। পুত্র জন্মিলে পাচদ্বিনে এবং কচ্চা জন্মিলে তিন দিন প্রস্থতিকে স্মৃতিকা-গৃহে অবস্থান করিতে হয়। পরে শিশুর মস্তক মুগুন পুৰ্ব্বক প্রস্থতি ও শিশু তেল হলুদ মাখিয়া স্বান করিয়া শুদ্ধ হইলে আপরে তাহাদিগকে স্পর্শ করিতে পারে। পুৰ হইলে পিতার এবং कछ श्न माडाद्र नाप्महे नि७ नखारमद्र नाम রাখা হয়। পিতা না থাকিলে গ্রামের সকলে মিলিয়া শিশুর নাম রাখে। অনেক ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠ

  • సెdరి ----

F. 10–37 সাওণ্ডাল জা भूरजद्र निष्ठामरश्द्र, ८छrईकछांद्र निष्ठांभशेौद्र, विठौग्न “...छात्र भाडाभरश्त्र यरु दिउँौग्ना कछाद्र भा७iभदौद्र নামে নামকরণ হয় । অপরাপর সস্তানগণকে নিজ আত্মীয়গণের নামে অভিহিত করা হয়। সাওতাল স্ত্রী তাহার স্বামীকে প্রাণ ভরিয়া ভালবাসে। অন্যান্য পুরুষকে ইহারা পিতৃতুল্য জ্ঞান করে । স্ত্রী সহজে তাহার স্বামীকে ছাড়িতে চাহে না । তাহাজের এরূপ প্রগাঢ ভালবাসা রহিলেও সাওতাল জাতির বিবাহ বিচ্ছেদ আছে। যদি পুরুষ তাহার স্ত্রীকে ত্যাগ করিতে চায় তবে তাহাকে কুড়ি টাকা, আর যদি স্ত্রী তাহার স্বামীকে ছাড়িতে চায়, তবে তাহাকে পণের সমস্ত টাকা স্বামীকে ফিরাইয়া দিতে হয়। কিন্তু উভয় পক্ষের টাকার স্বচ্ছল না থাকায় সাধারণতঃ ইচ্ছা সত্ত্বেও বিবাহ বিচ্ছেদ হইতে পারে না । সাঁওতালদের স্ত্রী-পুরুষ বালক-বালিকা সকলেই মদ খায় । শুখান চুণ ও তামাক হাতে চটকাইয়া ইহাঙ্গের অনেকেই মুখের ভিতর রাখে। ইহার শুদ্ধ তামাকের পাতা শালপাতায় গুটাইয়া চুটি প্রস্তুত করিয়া খায়। অন্য জাতির উচ্ছিষ্ট ইহার স্পশ করে না । এমন কি ইহাদিগকে কোন ভদ্রলোকের বাড়ীতে উচ্ছিষ্ট বাসন মাজিতে দেখা যায় না । ইহাৱা খুবই একগুঁয়ে জাতি । যা মনে করে তাই করিবার জঙ্ক প্রাণপণ চেষ্টা করে। মেয়ের গুরুজনকে পথে দেখিলেই তাহার সম্মুখে অঞ্জলি পাতিয়া দাড়াইয়া তিনবার মাথ৷ নীচু করে । সূৰ্য্য সাওতাল জাতির একমাত্র উপাস্ত দেবতা হইলেও ইহার অন্যাঙ্ক দেবতার পূজা করে। হিন্দুর দেব দেবীর পূজা পাৰ্ব্বণে ইহারা সানন্দে যোগদান পূৰ্ব্বক নৃত্যগীত করিয়া থাকে। সাওতালগণ পৌষ মাসে সোহরাই বা বান্ধন, ফাল্গুন মাসে সালসেই বা বনদেবতা এবং বোঙ্গাৰুঙ্গি বা বোভাবুভি বা ভূতপেত্নীৰ পূজা করে। সোহরাই পূৰায় কুমারী শূকরকে পরিষ্কার গোয়ালঘরে বাধিয়া ভালরূপে খাওয়ায়। পরে, তাহাকে বাহিরের উঠানে লইয়া গিয়া শাণিত কুঠার দিয়া বলি দেয় এবং সকল মিলিয়া উহার মাংস খায় ও হাড়িয়া পান করিয়া তৃপ্তি সহকারে ভোজন করে। -8