回... --- sञ्जिनी -••• ----•••••••---f প্রকাও প্রকাও কি না, কাজেই তার নীচে যে মানুষ রয়েছে তাকে খুঁজে বের করা একটু কঠিন কাজ । ভোর ৰেলা দৈত্য ভেড়াগুলি নিয়ে বেরিয়ে যাবার সময় খুব সাবধানে তাদের পিঠ হাতড়ে দেখে নিল— যেন কেউ ভেড়ার পিঠে চড়ে বেরিয়ে যেতে না পারে। ভেড়ার নীচে ঝুলে যে এরা বেরিয়ে যাবে তা কি আর দৈত্য ভাবতে পেরেছে ? এদিকে বাইরে এসেই ওডিলীয়ুস তার লোক জনদের নিয়ে একেবারে জাহাজে উঠে বসলেন--আর তাদের ধরে কে ? এমনি ক'রে তো এই মহাবিপদ থেকে সবাই উদ্ধার পেলেন! আরো ভাল ক’রে গুনবে ভেবে তারা পাহাড়ের নীচে জাহাজ এনে রাখত। তিন বোন তখন গান গাইতে গাইতে নেমে এসে তাদের ধরে খেয়ে ফেলত। গানের মায়ায় নাবিকেরা সৰ এমনি মুন্ধ হ'য়ে থাকত যে, পালাবার কথা মনেও আস্ত না ! এখন ইউলিসিসকে এই সায়রেণদের পাহাড় অতিক্রম করতে হ’বে। কি করা যায় ? বুদ্ধি ছিল তার আশ্চৰ্য্য ; তার একটু পরিচয় তো তোমরা সাইকপাদের গল্পেই পেয়েছ । এবার ও ভেবে ভেবে তিনি একটি স্বন্দর উপায় ঠিক কবলেন। মোম দিয়ে খুব সার্সি ইউলিসিস্কে যাদ্ধ করা সরবং পান করিতে দিল fকন্তু এখানেই কি এর শেষ আছে ? এবার যেতে যেতে সবাই মিলে পড়লেন সায়রেন বলে রাক্ষসীর হাতে। এরা ছিল তিন বোন 1 দূর সমুদ্রের কোলে একটা পাহাড়ের উপর এরা থাকৃত । কোন জাহাজ ধখন লে-পথে যেত তপন তারা তিন বোন অপূৰ্ব্ব রূপবতী তিনটি মেয়ের বেশ ধ'রে পাহাড়ের উপর বলে বসে গান গাইত। এমন মিষ্টি গান কেউ কখনো শোনেনি। বহুদূর থেকে সেই গানের অপূৰ্ব্ব ঝঙ্কার যখন নাবিকদের কানে যেত, তখন তারা পাগল হ’য়ে উঠত। বুড়ে দাগী ইউলিসিস কে চিনিতে পারিল ভাল ক'রে তাব নিজের নাবিকদের সকলের কাণ বন্ধ করে দিলেন, যেন গানের স্বরের এতটুকুরেশও তাদের কাণে না যায়। নিজের কিন্তু তার এই সায়রেণদের গনে শুনতে ভয়ানক লোভ হ’ল। তখন আপনাকে খুব শক্ত করে জাহাঙ্গেপ মাস্তুলের সঙ্গে বেঁধেলোকজনদের বললেনসেই পাহাড়ের সামনে দিয়ে যেতে। স্বরের সেই অপূৰ্ব্ব ঝঙ্কার যখন দূর থেকে কানে এসে লাগল, তখন তিনি তো একেবারে পাগল হয়ে উঠলেন। কিন্তু হাত পা বাধা, কিছুই করৱার উপায় তো নেই; কথা বললেও নাবিকরা শুনতে soxo F. 5-12
