পাতা:শুভদা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

GS সপ্তম পরিচ্ছেদ শুভদাও মনে করে তাহাই সম্ভব, কেন না। আর সে পয়সা চাহিতে আসে না, কাল শোধ করিয়া দিব বলিয়া আর দুই আন চারি। আন ধার করিয়া লইয়া যায় না । সে কোথায় থাকে। আমাকে জিজ্ঞাসা করিলে DBBDB BBSBD D DD DBK D S S SLL DBBDBD D DBBBD BBDDD DBDDBBB BBBB DB SBD S DBD BDDDB DDD গিয়া দুঃখের কাহিনী কহে, কত আড়তদারের নিকট এমন কি সামান্য দোকানদারদিগের নিকটও খাতাপাত্ৰ লিখিয়া দিবে বলিয়া কৰ্ম্ম প্রার্থনা করে, কিন্তু কোথাও কিছু করিয়া উঠিতে পারে না। সে অঞ্চলে অনেকেই তাহাকে চিনিত, সেই জন্য কেহই বিশ্বাস করিয়া রাখিতে চাহে না । সন্ধ্যার সময় হারাণচন্দ্ৰ শুল্কমুখে বাটী ফিরিয়া আসে, শুভদা স্নানমুখে জিজ্ঞাসা করে, আজ কোথায় খেলে ? হারাণচন্দ্ৰ স্ত্রীর কথায় হাসিবার চেষ্টা করে ; বলে, আমার খাবার অভাব কি ? কে আমাকে না জানে ? শুভদা আর কথা কহে না, চুপ করিয়া থাকে। ক্ৰমশঃ তাহার কলসীর জল শুকাইয়া আসিতেছে, টাকা ফুরাইয়া আসিতেছে ; আর দুই এক দিনেই নিঃশেষ হইয়া যাইবে, কিন্তু মুখ ফুটিয়া শুভদা তাহা স্বামীর নিকটে বলিতে পারে না, কাহাকেও জানাইতে তাহার ইচ্ছা হয় না, শুধু আপন মনে যাহা আছে তাহা লইয়াই নাড়া-চাড়া করে । আজ তিন দিবস পরে অনেক রাত্রে স্বামীর শ্ৰান্ত পা দুটি টিপিতে টিপিতে শুভদা মনে মনে অনেক যুদ্ধবিগ্ৰছ তর্কবিতর্ক করিয়া মুখ ফুটিয়া কহিল, আর নেই, সব টাকা ফুরিয়ে গেছে। হারাণচন্দ্ৰ চক্ষু মুদিয়া নিতান্ত সাধারণভাবে বলিলেন, দশ টাকা আর কতদিন থাকে ।