‘তা মানতেই হবে। পক্ষপাত জিনিসটা স্বাভাবিক জিনিস নয়। অধিকাংশ স্থলেই ওটা ফর্মাশে তৈরি। ইংরেজি সাহিত্যে পক্ষপাত কানমলা খেয়ে খেয়ে ছেলেবেলা থেকে অভ্যেস হয়ে গেছে। এই অভ্যাসের জোরেই এক পক্ষকে মন্দ বলতে যেমন সাহস হয় না অন্য পক্ষকে ভালো বলতেও তেমনি সাহসের অভাব ঘটে। ধাক্ গে, আজি নিবারণ চক্রবর্তীও না, আজ একেবারে নিছক ইংরেজি কবিতা— বিনা তর্জমায়।’
‘না না মিতা, তোমার ইংরেজি থাক্, সেটা বাড়ি গিয়ে টেবিলে বসে হবে। আজ আমাদের এই সন্ধেবেলাকার শেষ কবিতাটি নিবারণ চক্রবর্তীর হওয়াই চাই। আর-কারো নয়।’
অমিত উৎফুল্ল হয়ে বললে, ‘জয় নিবারণ চক্রবর্তীর। এতদিনে সে হল অমর। বন্যা, তাকে আমি তোমার সভাকবি করে দেব। তুমি ছাড়া আর-কারো দ্বারে সে প্রসাদ নেবে না।’
‘তাতে কি সে বরাবর সন্তুষ্ট থাকবে?'
‘না থাকে তো তাকে কান মলে বিদায় করে দেব।’
‘আচ্ছা, কান মলার কথা পরে স্থির করব, এখন শুনিয়ে দাও।’
অমিত আবৃত্তি করতে লাগল—
কত ধৈর্য ধরি
ছিলে কাছে দিবসশর্বরী।
তব পদ-অঙ্কনগুলিরে
কতবার দিয়ে গেছ মোর ভাগ্য-পথের ধূলিরে।
আজ যবে