পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষের পরিচয় C do স্ত্রী-কন্যার সব ভারই তিনি স্বেচ্ছায় কঁধে তুলে নিয়ে কাকাবাবুকে নিবঞ্চিাটে গোবিন্দজীর পায়ে সমৰ্পণ করেছিলেন । নিঃশব্দে নতনয়নে পোষ্টকার্ডখানি পাঠ করিয়া বিমলবাবু চক্ষু তুলিয়া রাখালের মুখের পানে তাকাইলেন । রাখাল বলিল, বলুন দেখি, এ চিঠি এখন কাকাবাবুর হাতে দেওয়া ॐऊि दिन ? বিমলবাবু নিরুত্তরে চিন্তা করিতে লাগিলেন। রাখাল পুনশ্চ কহিল, কাকাবাবুর কাছে এ’ সংবাদ গোপন রাখাও তো আমাদের পক্ষে অনুচিত হবে। বিমলবাবু বলিলেন, তা’ তো হবেই। তারপর একমুহূৰ্ত্ত চিন্তা করিয়া কহিলেন, এ’ চিঠি ওঁর হাতে দিয়ে কাজ নেই, পড়ে শোনালেই চলবে। কারণ, চিঠির কতকটা ংশে অনাবশ্যক কটু কথা আছে। ওঁকে সেটা না শোনালেই ॐ शङ् । --নিশ্চয়। কোন অংশ বাদ দিয়ে কতটুকু ওঁকে শোনানো যেতে পারে বলুন তো ? -এই যে লিখেচেন, “যে কলঙ্কিত বংশে রাণী জন্মগ্রহণ করিয়াছে, তাহার কলুষের লজ্জা তো তাহাকে চিরদিন বহন করিতে হইবেই জানি। আমার আশঙ্কা হয়, আপনাদের অপরাধ ও মহাপাপের শাস্তি শেষ পৰ্য্যন্ত আমার নিরপরাধা ভাগিনেয়ীকে স্পর্শ না করে। সেই জণ্ঠই তাঁহাকে যথাসম্ভব সত্বর সৎপাত্ৰস্থ করিবার ব্যবস্থা করিয়াছি । আপনাকে সংবাদ দিবার প্রবৃত্তি ছিলনা, কিন্তু লোকতঃ ও ধৰ্ম্মতঃ—” ইত্যাদি। এসব ংশ ওঁকে শোনাবার দরকার নেই । রাখাল কহিল-রাণীৰু বিবাহ স্থির হয়ে গেল তার পিতার ইচ্ছা