পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষের'পরিচয় । 8 eV) Y ଖଏତ୍ হইলেন,সবিতাকে বলিলেন, ব্ৰজবাবু তোমাকে তার বাসায় নিমন্ত্রণ করেছিলো। একবার ঘুরে আসবে নাকি ? अदिऊi অন্মত হইলেন । বিমলবাবু একাই বাহির হইয়া গেলেন। বৃন্দাবনে ব্ৰজবাণুর ঠিকানা খুজিয়া বাসায় পৌঁছিয়া দেখিলেন, রেণু পূৰ্বদিন রাত্রি হইতে কলেরায় আক্রান্ত হইয়াছে। চিকিৎসা ও শুশ্রুষার উপযুক্ত সন্দোবস্ত কিছুই হয় নাই। রোগীকে হরিনাম সংকীৰ্ত্তন শোনানাে হইতেছে!—ব্ৰজবাবু ঠাকুরঘরে হত্যা দিয়া পড়িয়া আছেন। মধ্যে মধ্যে উঠিয়া আসিয়া মুমূর্ষু কন্যার ওষ্ঠাধিরে একটু করিয়া চরণামৃত দিতেছেন, পুনরায় ব্যাকুলচিত্তে ছুটিয়া গিয়া বিগ্রহের সম্মুখে আছড়াইয়া পড়িতেছেন। তঁহার গুরুদেব বৈকুণ্ঠদাস বাবাজীর কুঞ্জে সংবাদ পাঠানোয়, তিনি আশ্রমের একজন বৈষ্ণবী সেবাদাসী পাঠাইয়া দিয়াছেন, রোগিনীর শুশ্রুষার জন্য। সে মথুরা জেলার যুবতী । বাংলা ভাষা ভাল বুঝিতে পারেনা। শুশ্ৰষা সম্বন্ধে বিশেষ জ্ঞান নাই। অসাড়প্রায় রোগিনীকে পিপাসায় জলদান এবং বৈকুণ্ঠদাস বাবাজীদত্ত । কবিরাজি বড়ি ও ঠাকুরের চরণামৃত সেবন করাইতেছে। রোগিনীর শয্যা ও বস্ত্ৰাদিতে উপযুক্ত পরিচ্ছন্নতার অভাব বিমলবাবুর চোখে পড়িল । ব্যাপার দেখিয়া বিমলবাবু সত্বর সবিতাকে আনিবার জন্য মথুরায় প্ৰত্যাবৰ্ত্তন করিলেন। রেণুর অবস্থা যে শঙ্কাজনক তাহা তিনি বুঝিতে পারিয়াছিলেন। সংবাদ শুনিয়া সবিতা যেন পাথর হইয়া গেলেন । বিমলবাবু তঁহাকে লইয়া কালবিলম্ব না করিয়া পুনরায় বৃন্দাবনে ছুটিলেন । মোটরে উপবিষ্টা সবিতার মুখের পানে তখন তাকানো যায়না । র্তাহার মধ্যে যেন একটা বিরাট ঝড় স্তন্ধ হইয়া রহিয়াছে।