Aysvg S8t বলব বাবা । উঃ কি বিপদের দিনই সে দিনটা গেছে। মাইরি, কিন্* শুভক্ষণেই পাঠশালে দু’জনের চার-চক্ষুর দেখা হয়েছিল। যে দুঃখটা তুমি আমাকে দিলে, এত দুঃখ ভূ-ভারতে কেউ কখনো কাউকে দেয়নি-দেবে না । শহরের মধ্যে বসন্ত দেখা দিয়েছে-সবাইকে নিয়ে ভালোয় ভালোয় পালাতে পারলে যে বঁচি -বলিয়া সে একটা দীর্ঘশ্বাস ত্যাগ করিল। সেই রাত্রেই আমরা আরা ত্যাগ করিলাম। একজন ছোকরা ডাক্তারীবাবু অনেক প্রকার ঔষধের সরঞ্জাম লইয়া আমাদের পাটনা পৰ্যন্ত পৌছাইয়া দিতে সঙ্গে গেলেন । পাটনায় পৌছিয়া বার-তেরো দিনের মধ্যে একপ্রকার সারিয়া উঠিলাম। একদিন সকালে পিয়ারীর বাড়ী একলা ঘরে ঘরে ঘুরিয়া আসবাবপত্র দেখিয়া কিছু বিস্মিত হইলাম। এমন যে ইতিপূর্বে দেখি নাই, তাহা নয়। জিনিসগুলি ভালো এবং বেশি মূল্যের, তা বটে ; কিন্তু এই মাড়োয়ারী-পাড়াব মধ্যে এই সকল ধনী ও অল্পশিক্ষিত সৌখীন মানুষের সংস্রবে। এত সামান্য জিনিসপত্রেই এ সন্তুষ্ট রহিল কি করিয়া ? ইতিপূর্বে আমি আবও যতগুলি এই ধরনের ঘর-দ্বার দেখিয়াছি, তাহাঁদের সহিত কোথাও কোন অংশে ইহার সাদৃশ্য নাই। সেখানে ঢুকিলেই মনে হইয়াছে, ইহার মধ্যে মানুষ ক্ষণকাল অবস্থান করে কি , করিয়া ? ইহার ঝাড়-লণ্ঠন, ছবি, দেয়ালগিরি, আয়না গ্লাসকেসের মধ্যে আনন্দের পরিবর্তে আশঙ্কা হয়-সহজ স্বাস-প্ৰশ্বাসের অবকাশটুকুও বুঝি মিলবে না । বহুলোকের বহুবিধ কামন-সাধনার উপহাররাশি এমনি ঠাসাঠাসি গাদাগাদিভাবে চোখে পড়ে যে, দৃষ্টিপাতমাত্রেই মনে হয়, এই অচেতন জিনিসগুলোব মত তাহদের সচেতন দাতারাও যেন এই বাড়ির মধ্যে একটুখানি জায়গার জন্য এমনি ভিড় করিয়া পরস্পরের সহিত রেবারেষি ঠেলা ঠেলি করিতেছে। কিন্তু এ-বাড়ির কোন ঘরে আবশ্যকীয় দ্রব্যের অতিরিক্ত একটা বস্তুও চােখে পড়িল না ; এবং যাহা, চোখে পড়িল, সেগুলি যে গৃহস্থামিনীর আপনার প্রয়োজনেই আঙ্কত হুইয়াছে, এবং তাহার নিজের ইচ্ছা এবং অভিরুচিকে অতিক্রম
