পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vity একটির পরে একটি দিয়া চলিতে লাগিলেন এবং আর একজন নিঃশব্দে নিঃসঙ্কোচে গলাধঃকরণ করিয়া যাইতে লাগিলেন । আমি কিন্তু উদ্বিয়ে হইয়া উঠিলাম। মনে মনে বুঝিলাম সাধুজী পূর্বে যাহাই করুন সম্প্রতি এরূপ উপাদেয় ভোজ্য এত অপৰ্য্যাপ্ত পরিমাণে সেবা করিবার সুযোগ করিয়া উঠিতে পারেন নাই ; কিন্তু দীর্ঘকালব্যাপী ত্রুটি একটা বেলার মধ্যে সংশোধন করিবার প্রয়াস করিতে দেখিলে দর্শকের পক্ষে ধৈৰ্য্য রক্ষা করা অসম্ভব হইয়া উঠে। সুতরাং রাজলক্ষ্মী আরও গোটা-কয়েক পেঁড়া এবং বরফি সাধুজীর পাতে দিতেই অজ্ঞাতসারে আমার নাক এবং মুখ দিয়া একসঙ্গে এতবড় একটা দীর্ঘনিঃশ্বাস বাহির হইয়া আসিল যে রাজলক্ষ্মী এবং তাহার নূতন কুটুম্ব দুজনেই চকিত হইয়া উঠিলেন। রাজলক্ষ্মী আমার মুখের পানে চাহিয়া তাড়াতাড়ি বলিয়া উঠিল, তুমি রোগা মানুষ, তুমি উঠে হাতমুখ ধোও গে না । আমাদের সঙ্গে বসে থাকবার দরকার কি ? সাধুজী একবার আমার প্রতি, একবার রাজলক্ষ্মীর প্রতি এবং তাহার পরে তঁাড়িটার দিকে দৃষ্টিপাত করিয়া সহস্যে কহিলেন, দীর্ঘশ্বাস পড়বার কথাই বটে। কিছুই যে আর রইল না । রাজলক্ষ্মী কহিল, আরও অনেক আছে। বলিয়া আমার প্রতি ক্রুদ্ধ দৃষ্টি নিক্ষেপ করিল। ঠিক এমনি সময়ে রতন পিছনে আসিয়া বলিল, মা, চিড়ে DB BB tELBLD BBS DBD D DD DD DDD BBBS BOS SELBDD €2छ। बा ! সাধু বেচারা অতিশয় অপ্ৰতিভ হইয়া কহিলেন, আপনাদের আতিথ্যের উপর ভয়ানক অত্যাচার করলুম, বলিয়া সহসা উঠিবার উপক্ৰম করিতেই রাজলক্ষ্মী ব্যাকুল হইয়া বলিয়া উঠিল, আমার মাথা খাবে ঠাকুরপো যদি ওঠে। মাইরি বলছি আমি সমস্ত ছড়িয়ে ফেলে দেব। সাধু ক্ষণকাল বিস্ময়ে বোধ হয় ইহাই চিন্তা করিলেন যে, এ কেমন স্ত্রীলোক যে একাদণ্ডের পরিচয়েই এত ঘনিষ্ঠ হইয়া উঠিল । রাজলক্ষ্মীর পিয়ারীর ইতিহাসটা না জানিলে বিস্ময়ের কথাই বটে। তারপরে তিনি একটুখানি হাসিয়া বলিলেন, আমি সন্ন্যাসী মানুষ, খেতে আমার কিছুই