পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कांड्स Ro অন্তরে সে যে কি বেদনাই বোধ করিল। তাহার মুখ দেখিয়া আমি স্পষ্ট বুঝিতে পারিলাম। চক্ৰবৰ্ত্তী যে তাহার সমুদয় হারানো বিষয় ফিরিয়া পাইতেছিল। সে কেবল কৌশল বিস্তার করিয়া নয়।--তাহার হেতু ছিল গহরের নিজের স্বভাবের মধ্যে। ব্ৰাহ্মণের প্রতি অনেকখানি ক্ৰোধ আমার আপনিই পড়িয়া গেল। চক্ৰবৰ্ত্তীর সঙ্গে সাক্ষাৎ ঘটিল না, কারণ শোনা গেল, র্তাহার গৃহে গুটি দুই নাতির মায়ের অনুগ্রহ’ দেখা গিয়াছে। গ্রামে গ্রামে ওলাবিবি এখনও দেখা দেন নাই-পচা-পুকুরের জল আর একটু শুকাইবার অপেক্ষায় আছেন। সে যাই হোক, বাড়ীতে ফিরিয়া গহর তাহার পুথি আনিয়া হাজির করিল, তাহার পরিমাণ দেখিয়া ভয় পায় না। সসারে এমন কেহ যদি থাকেন তাহা অত্যন্ত বিরল। বলিল, না পড়া হলে কিন্তু ছাড়া পাবে না। শ্ৰীকান্ত। সত্যি করে তোমাকে মত দিতে হবে । এ আশঙ্কা ছিলই। স্পষ্ট করিয়া রাজী হইতে পারি এ সাহস ছিল না, তথাপি দিনের পর দিন করিয়া কবির বাটীতে কাব্য আলোচনায় এ-যাত্রায় আমার সাতদিন কাটিল। কাব্যের কথা থাক, কিন্তু নিবিড় সাহচর্য্যে মানুষটির যে পরিচয় পাইলাম তাহা যেমন সুন্দর, তেমনি বিস্ময়কর। একদিন গহর বলিল, তোর কাজ কি শ্ৰীকান্ত বৰ্ম্ময় গিয়ে । আমাদের দুজনেরই আপনার বলতে কেউ নেই, আয় না দু ভাইয়ে এখানেই একসঙ্গে জীবনটা কাটিয়ে দিই। হাসিয়া বলিলাম, আমি তোমার মতো কবি নাই ভাই, গাছপালার ভাষাই বুঝি নে, তাদের সঙ্গে কথা কইতেও পারি নে, পারবো কেন এই বনের মধ্যে বাস করতে ? দুদিনেই হাঁপিয়ে উঠবে যে । গহর গম্ভীর হুইয়া উঠিল, বলিল, আমি সত্যিই ওদের