পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VSR कांड्ड ধরা পড়িল রাজলক্ষ্মীর সবচেয়ে বড় দুর্বলতা কোথায়। সে জানে আমি সুস্থ নই, যে কোনদিন অসুখে পড়িতে পারি, তখন কোথাকাব কে এক পুটু আমাকে ঘিরিয়া শয্যা জুড়িয়া বসিয়াছে, রাজলক্ষ্মীর কোন কর্তৃত্বই নাই, এত বড় দুর্ঘটনা মনের মধ্যে সে ঠাই দিতে পাবে না। সংসারের সব কিছু হইতেই নিজেকে সে বঞ্চিত করিতে পারে। কিন্তু এ বস্তু অসম্ভব-এ তাহার অসাধ্য। মবণ তুচ্ছ, এর কাছে বহিল। তাহার গুরুদেব, রহিল তাহাব জপতপ ব্ৰত-উপবাস। সে মিথ্যা ভয় আমাকে চিঠির মধ্যে দেখায় নাই। ভোরের সময় বোধ করি ঘুমাইয়া পড়িয়াছিলাম, বতনের ডাকে যখন জাগিয়া উঠিলাম তখন বেলা হইয়াছে। সে কহিল, কে একটি বুডো ভদ্রলোক ঘোড়ার গাড়ী করে এইমাত্র এলেন। এ ঠাকুর্দা ; কিন্তু গাড়ী ভাড়া করিয়া ? সন্দেহ জন্মিল। রতন কহিল, সঙ্গে একটি সতেরো-আঠারো বছরের মেয়ে আছে। এ পুটু। এই নির্লজ্জ মানুষটা তাহাকে কলিকাতার বাসায় পৰ্য্যন্ত টানিয়া আনিয়াছে। সকালের আলো তিক্ততার মান হইয়া উঠিল, বলিলাম, তঁদেব এই ঘরে এনে বসাও রতন, আমি মুখ-হাত ধুয়ে আসচি ; এই বলিয়া নীচে স্নানের ঘরে চলিয়া গেলাম। ঘণ্টাখানেক পরে ফিরিয়া আসিতে ঠাকুর্দাই আমাকে সমাদর অভ্যর্থনা করিলেন, যেন আমিই অতিথি-এসে দাদা, এসো। শরীরটা বেশ ভালো ত ? আমি প্ৰণাম করিলাম। ঠাকুর্দা হাঁকিলেন, পুটু গেলি কোথায় ? পুটু জানালায় দাড়াইয়া রাস্তা দেখিতেছিল, কাছে আসিয়া নমস্কার করিল।