পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vo শ্ৰীকান্ত আনিবে। এক উপায়-যাঃ পলায়তি । টিকিট কিনিতে গেলাম কিন্তু জাহাজে স্থানাভাব-সমস্ত টিকিট পূর্বাহেই বিক্ৰী হইয়া গিয়াছে, সুতরাং পরের মেলের জন্য অপেক্ষা করিতে হইবে। সে ছয়-সাত দিনের ব্যাপার। আর এক পন্থা বাসা বদল করা। ঠাকুর্দা না খুজিয়া পায় ; কিন্তু এমন একটি ভালো জায়গা এত শীঘ্ৰ পাওয়াই বা যায় কোথায় ? কিন্তু অবস্থা এমন দাড়াইয়াছে যে ভালোমন্দর প্রশ্নই অবান্তর-যথারণ্যং তথা গৃহম-শিকারীর হাত হইতে প্ৰাণ दbiनiद्ध प्रां । ভয় ছিল আমার গোপন উদ্বেগটা পাছে রতনের চোখে পড়ে ; কিন্তু বিপদ হইয়াছে তাহার নড়িবার গা নাই, কাশীর চেয়ে কলিকাতা তাহাব বেশী মনে ধরিয়াছে। জিজ্ঞাসা করিলাম, চিঠির জবাব নিয়ে কি তুমি কালই যেতে চাইচে, রতন ? বতন তৎক্ষণাৎ উত্তর দিল, আজ্ঞে না। আজ দুপুরে মাকে একখানা পোষ্টকার্ড লিখে দিলাম। আমার দু-পাচ দিন দেরি হবে । মরা সোসাইটি, জ্যান্ত সোসাইটি না দেখে আর ফিরচি নে। আবার কবে কোন কালে আসা হবে তার কোন ঠিক নেই । दनिव्लाभ, किल्लु डिनि ऊ ऐछेक्षि झहङ °iाहद्रनআজ্ঞে, না । গাড়ীর ধকলটা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারি নি সে-কথা লিখে দিয়েছি। কিন্তু চিঠির জবাবটাআজেজ্ঞ, দিন না। কালই রেজেষ্টি করে পাঠিয়ে দেবোখন। সে বাড়ীতে মা’র চিঠি যমে খুলতে সাহস করবে না । চুপ করিয়া বসিয়া রহিলাম। নাপিত ব্যাটার কাছে কোন ফন্দিই খাটিল না। সব প্ৰস্তাবই নাকচ করিয়া দিল। যাবার সময় ঠাকুর্দা টাকার কথাটা প্রচার করিয়াই গিয়াছেন।