পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓዓ Artvg তত্ত্ব পায় নাই। সেই অসহায় অপরিতৃপ্ত প্ৰবৃত্তি এই নিরবচ্ছিন্ন ভাব-বিলাসের উপকরণ সংগ্ৰহে হয়ত আজ ক্লান্ত--দ্বিধায় পীড়িত। সেই তার পথভ্ৰষ্ট বিভ্রান্ত মন আপনি অজ্ঞাতসারে কোথায় যে অবলম্বন খুজিয়া মন্বিতেছে, বৈষ্ণবী তাহার ঠিকানা জানে নাআজ তাই সে চমকিয়া বারে বারে তাহার বিগত জনমের রুদ্ধ দ্বারে হাত পাতিয়া অপরাধেব সান্থনা মাগিতেছে। তাহার কথা শুনিয়া বুঝিতে পারি। আমার ‘শ্ৰীকান্ত’ নামটাকেই পাথেয় কবিয়া আজি সে খেয়া ভাসাইতে চায় । 弗 萃 带 帶 বৈষ্ণবী চা আনিয়া দিল, সবই নূতন ব্যবস্থা, পান করিয়া গভীর আনন্দ লাভ করিলাম। মানুষের মন কত সহজেই না পরিবৰ্ত্তিত হয়-আর্য যেন তাহাব বিকদ্ধে কোন নালিশ নাই। জিজ্ঞাসা করিলাম, কমললতা, তোমাবা কি শুড়ী ? কমললতা হাসিয়া বলিল, না, সোনার-বেণে ; কিন্তু তোমাদের কাছে ত প্ৰভেদ নেই, ও দুই-ই এক । কহিলাম, অন্ততঃ আমার কাছে তাই বটে। দুই-ই এক কেন, সবাই এক হলেও ক্ষতি ছিল না । বৈষ্ণবী বলিল, তাইত মনে হয়। তুমি গহরের মায়ের হাতেও খেয়েছে ? বলিলাম, তঁকে তুমি জানো না। গহর বাপের মত হয় নি, তার মায়ের স্বভাব পেয়েছে। এমন শান্ত, আত্মভোলা মিষ্টি মানুষ আর কখনো দেখেচো ? ওর মা ছিলেন তেমনি। একবার ছেলেবেলায় গহরের বাপের সঙ্গে তার ঝগড়ার কথা আমার মনে আছে। কাকে নাকি লুকিয়ে অনেকগুলো টাকা দেওয়া নিয়ে ঝগড়া বাধলো, গহরের বাপ ছিল বদরাগী লোক, আমরা ত ভয়ে গেলাম পালিয়ে। ঘণ্টাখানেক পরে চুপি চুপি ফিরে এসে দেখি গহরের মা চুপ করে বসে। গহরের বাপের কথা জিজ্ঞাসা করতে প্ৰথমটা তিনি কথা