বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শ্রীরাজমালা (প্রথম লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/২১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লইর মধ্য-মণি। bሥ¢ প্রান্তে কিরাত দেশের অবস্থান মহাভারত দ্বারাও প্রমাণিত হইতেছে। সভাপর্বে আরও পাওয়া যায়— "বে পরার্থে হিমবতঃ সুৰ্য্যোদয়গিরেী নৃপাঃ । কারূষে চ সমুদ্রান্তে লৌহিত্যমভিতশ্চ যে । ফলমূলাশন যে চ কিরাতাশ্চর্শ্ববাসসঃ । ক্রুরশস্ত্রা ক্রুরকৃতস্তাংশ্চ পখাম্যহং প্রভে।” मशङिॉब्रड,-नलां°दर्द, ९२ श्रः, w-> c#1दः । এই শ্লোক আলোচনায় পাওয়া যাইতেছে, হিমালয়ের পূর্বে লৌহিত্য নদীর পর পারে, কিরাত’ নামে প্রদেশ ছিল । পাশ্চাত্য ভৌগোলিক টলেমী কিরাত জাতিকে “Chirrhadae” নামে অভিহিত করিয়াছেন, এবং তিনিও এই জাতিকে ভারতবর্ষের পূর্বপ্রাস্তবাসী বলিয়াছেন। ব্রহ্মদেশ ও কম্বোজ হইতে পঞ্চম এবং ষষ্ঠ শতাব্দীতে যে সকল শিলালিপি আবিষ্কৃত হইয়াছে, তাহাতে ঐ সকল প্রদেশের আদিম অধিবাসী পাৰ্ব্বত্য জাতিসমূহকে কিরাত’ নামে অভিহিত করা হইয়াছে। এই সকল প্রমাণ দ্বার স্থিরীকৃত হইতেছে, এক সময়ে হিমালয়ের পূর্বাংশস্থিত বর্তমান ভূটান, আসামের পূর্বাংশ, মণিপুর, ত্রিপুরা ও ব্রহ্মদেশ এবং চীন সমুদ্রের তীরবর্তী কম্বোজ পৰ্য্যম্ভ স্থানে কিরাত জাতির বাস ছিল এবং সেই সকল স্থান কিরাত ভূমি বলিয়া । অভিহিত হইত। এখনও নেপালের পূর্বাংশ হইতে আসাম, ত্রিপুরা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের পাৰ্ব্বত্য প্রদেশে কিরাতগণ বাস করিতেছে ; ইহার নেপালে "করান্তি’ এবং আসাম, ত্রিপুরা ও চট্টগ্রাম প্রভৃতি প্রদেশে নাগা, কুকি, গারো ও মঘ প্রভৃতি নামে প্রসিদ্ধ । শক্তিসঙ্গম তন্ত্রে কিরাত ভূমির অবস্থান নিম্নোক্তরূপে নিৰ্দ্ধারিত হইয়াছে – তপ্তকুওং সমারভ্য রামক্ষেত্রান্তকং শিৰে । কিরাতদেশে দেবেশি বিন্ধ্যশৈলে২বতিষ্ঠতে।” উক্ত তপ্তকুণ্ড জয়ন্তীয়ার পাঁচভাগ পরগণায় হরিপুর নামক স্থানে অবস্থিত। মধুকৃষ্ণাত্রয়োদশীতে এই স্থানে বহু যাত্র সমাগত হইয়া স্নান ও তপণাদি করিয়া থাকে। উক্ত কুণ্ডের বিশেষত্ব এই যে, উহার জলরাশি শীতল, অথচ গর্ভস্থ ভূমি অতিশয় উষ্ণ। অনেকে অনুমান করেন, কুণ্ডের তলদেশস্থ ভূগর্ভে কোনরূপ দাহ পদার্থ আছে।ঞ্চ এই কুণ্ড এবং উদ্ধৃত শ্লোকের তপ্তকুণ্ড অভিন্ন বলিয়াই ایسی عے . عاخ==r ، ــــیے -ایچ . “Another Saered pool is known as Taptakunda and is situated in Pargana Panchbhag in Jaintia. This pool is said to become quite warm on the occasion of the Baruni and it is possible that the water has in reality some mineral properties.” 鞭 Assam District Gazetteer, Vol. II (Sylhet) Chap. III-p. 89.