বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শ্রীরাজমালা (প্রথম লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯২ রাজমালা [ ભ્રષમ কর্তৃক ত্রিপুর৷ জয় বলিয়া বর্ণনা করিয়াছেন।” এই উক্তির প্রমাণ স্বরূপ জিনি ষ্টয়ার্টএর নিম্নলিখিত মন্তব্য উদ্ধৃত করিয়াছেন ;–“In the year 678 (1879 A.D.) he assembled a very numerous army, and invaded the country of Jagenagur (Tipperah). After having defeated the Raja in a general engagement,he plundered the inhabitants,and brought away with him immense wealth and one hundred elephants.” Stewart's History of Bengal P. 44. এই উক্তি অভ্রান্ত নহে। মহারাজ রত্বমাণিক্যের মুদ্র আলোচনায় জানা যায়, তিনি তুগ্রল খায়ের শাসনকালের অনেক পরে রাজা হুইয়াছিলেন । এ বিষয়ে অতঃপর বিশেষভাবে আলোচনা করা হইবে। উক্ত মুদ্রা ১২৮৮ শকাব্দে (১৩৬৬ খ্ৰীঃ অব্দে) নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। এতদ্বারা রত্বমাণিক্যের শাসন কালের জাভাস পাওয়া যাইতেছে । কাহারও কাহারও মতে রত্নমাণিক্য ১৩৫২ খ্ৰীঃ অব্দে রাজা হইয়াছেন । তুগল খাঁ ১২৭৭ খ্ৰীঃ অব্দে বাঙ্গালীর শাসন ভার পাইয়া ১২৮২ খ্ৰীষ্টাব্দ পর্যন্ত সেই পদে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। সুতরাং রত্নমণিক্যের পক্ষে উস্থার সাহায্য গ্রহণ করা সম্ভবপর হইতে পারে না। তু গল কর্তৃক ত্রিপুর আক্রমণের কথা সত্য হইলেও তাহা রত্বমাণিক্যের শাসনকালের পূর্ববৰ্ত্তী ঘটনা। ইতিহাস আলোচনায় জানা যায়, ১৩৪৭ খ্রীঃ স্তুব্দ হইতে ১৩৫৮ঞ্জী অব্দ পর্যন্ত, সুলতান সামসুদিন বাঙ্গালার মসনদে অধিষ্ঠিত ছিলেন । ইনি গৌড়ের শাসনভার গ্রহণ করিবার অল্পকাল পরে, জাজনগর (ত্রিপুর ) আক্রমণ পূর্বক ত্রিপুরেশ্বরকে বাধা করিয়া বহু অর্থ ও অনেকগুলি হস্তী গ্রহণ করিবার কথাও ইতিহাসে পাওয়া যায় । সময়ের সামঞ্জস্য রক্ষা করিতে গেলে বুঝা যায়, এই সুলতান সামসুদিনই রত্ব ফা এর (রত্নমাণিক্য ) পক্ষ অবলম্বন পূর্বক ত্রিপুর আক্রমণ করিয়াছিলেন। يه এই সময়েই রত্ন ফ মাণিক্য উপাধি লাভ করেন। রাজমালায় লিখিত জাছে ;— 7,

  • রত্ন ফা নাম ভার পিত্তায় রাখিছিল। রত্ন মাণিক্য খ্যাতি গৌড়েশ্বরে দিল ।

এতদ্বিষয়ক বিস্তৃত বিবরণ স্থানান্তরে বিবৃত হইয়াছে, স্বতরাং এস্থলে অধিক আলোচনা নিম্প্রয়োজন । ,