পাতা:শ্রীশ্রী রাধামোহন প্রভুর চরিত্র - গিরীশ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাধামোহন চরিত্র । నమో মহাশয়াকে প্রবোধ দিয়া তাহার শোকশাস্তি বিধুয়ে চেষ্টা করিতে লাগিলেন । কালিন্দীদাস ও পরাণদাস উভয়ে বৃন্দাবনে ছিলেন সুতরাং এখানকার বিপদের কথা কিছুমাত্র অবগত হন নাই। র্তাহার চারিমাল কাল বৃন্দাবনে অবস্থান পূর্বক ঈশ্বরী জীউর কুঞ্জের জীর্ণ সংস্কার করিয়া তথাহইতে মালিহাট প্রত্যাগমন করিতেছেন, রাজমহল অতিক্ৰম করিয়া আসিয়াছেন, হঠাৎ পথিমধ্যে আপনাদিগের অভীষ্টদেব রাধামোহন প্রভুকে দর্শন করিলেন। দর্শন মাত্র পরমানন্দ লাভ করিয়া চরণ সম্মুখে দগুবৎ পতিত হইলেন প্ৰভু তাঁহাদের কুশল বাৰ্ত্ত জিজ্ঞাসা করিয়া কহিলেন, “আমি কোন বিশেষ প্রয়োজনীয় কাৰ্য্য বশতঃ বৃন্দাবনধাম যাত্রা করিতেছি, কতদিন হইবে নিশ্চয় বলিতে পারিতেছি না, তোমরা শীঘ্ৰ মালিহাট যাও বৈশাখের কৃষ্ণপক্ষীয় চতুর্গাঁতে একটা মহোৎসব করিয় ভূরি ভোজন এবং অষ্টপ্রহর হরিসঙ্কীৰ্ত্তন করাইবা । তাহার ব্যয় নিৰ্ব্বাহের জন্ত, আমার দক্ষিণ দ্বারী প্রসাদের ঈশান কোণে প্রোথিত এক সহস্র মুদ্রা আছে তাহাই তুলিয়া লইবা ।” কালিন্দীদাস ও পরাণদাস “যে আজ্ঞা” বলিয়া পুনঃ প্রণাম পূৰ্ব্বক যাত্রা করিলেন। আবার দুই চারি পদ গিয়া প্রভুকে পুনর্দর্শনের জন্ত উভয়েই যুগপৎ মুখ ফিরাইলেন কিন্তু আর র্তাহার দর্শন পাইলেন না। প্ৰভু যেন