পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যমঙ্গল.djvu/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

£6 শ্রীচৈতন্ত্যমঙ্গল “দেখি দেখি, বলি, সম্ভে কোলে করি, পুলক ভরল কলেবরে। ৯১ ৷ ঐছন দিনে দিনে, প্রতি ক্ষণে ক্ষণে, আনন্দ কহিল কি যায়। নরহরিদাস,- পদ করি আশ, লোচনদাস গুণ গায় ॥ ৯২ ৷৷ জন্মলীলাবর্ণন সমাপ্ত ব। লালীল। কথাসার } ছয় মাস অতীত তইলে গোরসুন্দরের অন্নপ্রাশন ও নামকরণ যথাবিপি সম্প: হইল তাহার আবির্ভাবে সমগ জগৎ আনন্দে পলিপুণ চটল বলিয়। পিজ্ঞগণ র্তা র নাম রাগিলেন বিশ্বম্ভর । বিশ্বম্ভব ক্রমে পিতার অঙ্গুলি ধরিয়া প্রাঙ্গণে ছাটিতে আবস্থ কবিলেন। অদদ, কঙ্কণ, মতিহার প্রভৃতি বিবিধ অলঙ্কারে বি গুযিত গেীরস্থদেবের অঙ্গ কাস্তিতে কোটিচন্দ্র প্রভা মলিন আ ক শেল ৮ম পাঠিরের তমোনাশ করিলে ও অন্তরের তমোম}শ করিতে পারে না, কিন্তু গৌরচন্দ্ৰিম অস্তুর বাহিরের তমোবিনাশ করিয়া থাকে। শচীদেবী ‘শ্য আয় চাদ অায়”—-প্রভূতি গীত গান করিয়া পুত্রকে ঘুম পাড়াইতেন তৎকালে কপন মানা দেব-দেবী আসিয়া পুত্র ে বন্দনা অত্যন্ত বিস্মান্বিত হইতেন, কখন দেবতাদিগের সহিত গৌরহরিকে রাধ। গোবিন্দ বলিয়৷ উদও মৃত্যু করিতে দেপিয়া মূৰ্ছিত হইয় পড়িতেন। কখন পুত্রের শূন্যপদে নূপুবের ধ্বনি শ্রবণ করিয়া বিশ্ব বিষ্ট হইতেন, কখন বা ভাবী অমঙ্গল আশঙ্কায় অতীব চিস্তান্বিত হইয়া পড়িতেন আবার পরক্ষণে পুত্রের শ্রীনুপ দেপিয়া সব বিস্তুত হইয়। পুন: পুনঃ তাহার শ্ৰীমুখ চুম্বন করিতেন । এইরূপ কিছুদিন আ তা গু হইলে গৌরমুন্দর পেলার সঙ্গী বালকদিগের সহিত গৃহের বহিরে বালকে চিত শ্ৰীড়ায় আসক্ত হইমেন। শচীদেবী গৌরস্কন্দবকে ধরিতে গেলে গেবলুন্দর চুটিয়া পলায়ন করিতেন কখন বা ক্রুদ্ধ ষ্টয়া গৃহে আসি তথাকার দ্রব্যাদি সব নষ্ট করিয়া ट्टें८ ।। করিতেছেন দেখিয়া ফেলিতেন। কখন মাতকে শুঢ়ি অ শুটি প্রভূতি প্রাকৃতবিচারের হেয়ত্ব বুঝাইয় দিয়া কৃষ্ণের সৰ্ব্বেশ্বরত্বরূপ অপ্রাকৃত জ্ঞানের উপদেশ প্রদান করিতেন। অনস্তর উচ্ছিষ্ট ভাণ্ডপূর্ণ গৰ্ত্তে বসিয়া মাতাকে জ্ঞান প্রদান, মাতাকে প্রহার, তৰ্জ্জত মাতাকে মূচ্ছি ত দেখাইয়া নারিকেল চল আনয়ন, নানাবিধ বালকোচিত চঞ্চলতা, বুকুর শাবক লইয়া ক্রীড়া, কুক্কুর শাবক ছাড়িয়া দেওয়ার মা তার প্রতি গোপহরির ক্রোধ করিয়া ক্ৰন্দন, কুক্ক শাবকের দিব্য দেহে হরিকাগুন করিতে করিতে বৈকুণ্ঠে গমন, কুকুরের সৌভাগ্য দর্শনে ব্রহ্মদির গৌরবন্দন, শচীদেবী ষষ্ঠ পূজার জন্য নৈবেদ্য প্রস্তুত করিলে তন্নিমিত্ত গৌরঙ্গরির ক্ৰন্দন এবং শচীকে বাকচ্ছলে নিজ সব্বেশ্বরত্ব জ্ঞাপন বর্ণিত হইয়াছে 前 gi -i하 1 এই মত দিনে দিনে শচীর কুমার। বাঢ়য়ে শরীর যেন অমৃতের ধার ॥ ৯৩ ৷ কি দিব উপমা তার—ন দিলে সে নারি। খলবল করে প্রাণ - কহিলে সে পারি ॥ ৯৪ ৷ নিভি-ষোলকলা-পূর্ণ ইন্দু মুখচন্দ্র। সাধে দেখিলারে পায় জনমের অন্ধ ॥ ৯৫ ॥ আবেশে অধরে আধ-মুচকি হাদিতে। অমিয়ার সাগর যেন হিল্লোল-সহিতে ॥ ৯৬ ॥ রসে ডুবুডুবু রাতা নয়নযুগল। কাজর-অমিয়াপঙ্কে কে বান্ধ বান্ধল ॥ ৯৭ ৷ শচী পুণ্যবতী—জগন্নাথ ভাগ্যপাল। সাদরে নিরখে দোহে পুত্রের বয়ান ॥ ৯৮ ৷৷ ক্ষণে হাসে ক্ষণে রোয়ে ক্ষণে খট করে । ক্ষণে কোলে ক্ষণে দোলে হিয়ার উপরে ॥১৯ শচী-স্তনযুগে দুই চরণ রাখিয়া দোলে যেন সোণার লতিকা-বায়ু পাঞা ॥১০০ অতি দীর্ঘ নয়াল সুন্দর অট্টহাসি । অধরে অমিয়ারাশি পড়ে যেন খসি ॥ ১০১ ৷ নাসিক শুকের ওষ্ঠ জিনি মনোহর। গগুযুগ জ্যোতিৰ্ম্ময় –গঠন সোসর ॥ ১০২ ৷