পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যমঙ্গল.djvu/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫২ দেখিয়া মুরারি বৈদ্য, লিজ আণচরণে গদ্য, কুবচন কহিল রুমিয়।। ৩৮৬ ॥ এছারে কে পোলে ভাল, দেখিল ত ছাওয়াল, মিশ্র-পূরন্দর স্থত এই। সৰ্ব্বত্র শুনিএ কথা, ইহার সে গুণগাথা, ভাল নাম ইহার নিমাই ॥ ৩৮৭ ॥ ঐছন শুনিয়া বাণী, রুষিলা সে গৌরহরি, অনুগত কপার কারণে । ভ্ৰুকুটি লয়ন করি, বোলে পাকচাতুরী, জানাইল ভোজনের ক্ষণে ॥ ৩৮৮ ৷ শুনি বিশ্বস্তুরলাণী, মুরারি সে মনে গুণি, ঘর গেল। লিস্মিত-হিয়ায় । গুহক র্য্য ল্যাব্লতে, পাশরিল তানচিতে, হইল সে ভোজন সময় ॥ ৩৮৯৷৷ এখ। পিশ্বস্তুর হরি, অঙ্গের স্থলেশ করি, পটিতে টানিএঃ পিন্ধে পড়।। শিরে শোস্তে তিন বুটি, গল।য়ে সে রস কাঠা, কণ্ঠলগ্ন মুকুতা দুবেঢ় ॥ ৩৯o ॥ নয়নে ক’(জররেখl, পাচ ধুপী বন্ধে শিখ। ঝলমল হেম-অলঙ্কণর । চরণে মগরা খাড়, হাথে করি ক্ষীরলা ডু, চলিল। ঠাকুর বিশ্বম্ভর ॥ ৩৯১। মুরারি গুপ্তের ঘরে, গেল। নিজ অভ্যন্তরে, ভোজন করিছে বৈদ্যরাজ। মেঘগম্ভীর-নদে নিজমন-পরসাদে, “মুরারি' বলিয়া দিলা ডাক ॥ ৩৯২ ॥ স্বর শুনি স্মঙরিল, বিশ্বস্তুর যে বলিল, গুগুলেলী। চমকিত চিত । তবে সেই গৌরহরি, কি কর কি কর বলি, সেইখানে ইষ্টল উপনীত ॥৩৯৩ || ক্তরস্ত না হও তুমি, এইখানে আছি আমি, ভোজন করহ বাণী লৈল । মধ্যভোজন-বেলা, ধীরে ধীরে নিয়ড়ে গেল, থাল ভরি মৃত মুতিল ॥৩৯৪ ॥. ক্রীচৈতন্যমঙ্গল কি কি বলি ছি! ছি ! করি, উঠিল। সে মুরারি করভালি দিয়া লোলে গোরা। কর শির নাড়িয়া, ভক্তিপথ ছাড়িয়া, যোগ বলে এই অভিপার৷ ২৯৫। জ্ঞান-কৰ্ম্ম উপেখিয়া, কৃষ্ণ ভজ মন দিয়া, রসিক বিদগ্ধ চিদানন্দ । ভৌতিকে ভাহীর দৃষ্টি, এ নহে হজমপুষ্টি, নাহি বুঝ বুদ্ধি অতি মন্দ ॥৩৯৬ ॥ পরম দয়ালু হরি, তেঁহো সৰ্ব্বশক্তিধারী, জালেতে সম্ভলে ইকি কথা। র্তেহে ব্রহ্ম সনাতন, গোপীর জীবনধন. ন। জিয়৷ কেনে দেহ ব্যথা ॥ ৩৯৭ ॥ ইহা বলি গোরামণি, কতি গেল। নাহি জানি, মুরারি দেখিতে নাহি পায়। মনে-মনে অনুমান, এই কভু নহে আনি, সত্য পহু শচার তনয় ॥ ৩৯৮ ॥ এত অনুমান করি তবে সেই মুর রি, আস্তে ব্যস্তে চলিল। সত্বর। চলিতে ন পারে পগে, অতি আনন্দিতচিতে, গেল। যথা মিশ্র পুরন্দর ॥ ৩৯৯ ॥ এথা, শচী-জগন্নাথ মেলি, পূত্রের তুলাল করি, তুমি মোর সরলস ধন। যেখানে যেখানে যাই, যথা যে বা দুঃখ পাই, দেখি পাশরিয়ে চান্দপwন ॥ ৪০০ ॥ ইহা বলি দে হে মেলি, দুইগালে চুম্ব দেই, কোলে করিলারে টানাটানি। হেনকালে মুরারি, সেইখানে বরাবরি, আনন্দে না নিঃসরয়ে বাণী ॥ ৪০১ ॥ দেখিয়া তরস্ত হৈয়া, শচী-জগন্নাথ গিয়া, বৈদ্যেরে করিল অভু্যত্থান। কারে কিছু না বলিল, অণর সব পাশরিল, দেখি গোরাচাদের বয়ান ॥ ৪০২ ॥ পুলকিত সব গ৷ অণপাদ মস্তক যl, ধারা লহে নয়ানের জলে । }