পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যমঙ্গল.djvu/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধ্যখণ্ড শ্ৰীচন্দ্রশেখরাচাৰ্য্য আর শুক্লাম্বর। সবজন মিলি আইলা ঠাকুরের ঘর ॥৭৬ যেখালে অগছিল ভক্তগণ যত যত । প্রভুর আজ্ঞায় সভে ভৈগেল একত্র ॥৭৭৷ একত্র হইয়৷ সভে সঙ্কীৰ্ত্তন করি । বিজয় কিরিলা প্রভু বিশ্বম্ভর হরি ॥৭৮ নদিয়ানগরে ভেল আনন্দহিল্লোল । গগনে উঠিয়া লাগে হরিহরি বোল ॥৭৯ নিজঘরে শুতিয়াছে জগাই মাপাই । নিজমদে মত্ত—নিদ্রা যায় দুই ভাই ॥৮০৷৷ সেই পথে কীৰ্ত্তন করিয়া প্রভু যায় । নদিয়ার লোক সব দেখিবারে ধায় ॥৮১৷৷ করতল-মৃদঙ্গ দি কীৰ্ত্তনের রোলে । চতুদিগে শুনি মাত্র হরিহরিপোলে ॥৮২৷ জাগিল সে দুই ভাই কাৰ্ত্তলের রোলে। মুখ তুলি’ চাহে- ক্রোপে পর ধর বোলে ॥৮৩ রাঙ্গা ভু-নয়ন করি’ চাহে ক্ৰোধ-পিঠি । কি না ধ্বনি শুনি’ কর্ণে—মাইল যেন জাঠি ॥ হৃদয়ের শেল যেন একটি শবদ । জিতে সাধ থাকে যদি—হউ নিঃশবদ ॥৮৫৷৷ তাহার কাছের লোক কহে তার আগে— সম্বরণ কর গোসাঞি ক্রোধ কর কাখে ॥ আজ্ঞা কইলে যাব এখন নিষেধ করিব। কাহার শকতি আর এ পথে আসিল ॥৮৭৷৷ জগন্নাথ মুভ দ্বিজ নিমাই পণ্ডিত । কীৰ্ত্তন করয়ে সব-ব্রাহ্মণ-বেষ্টিত ॥৮৮ নিষেধ করহ—তারা যাউ অন্ত্যপথে । নিঃশবদে রন্থ—যদি সাধ থাকে জিতে ॥৮৯৷৷ মিছা গোল করি’ বুলে—নাহি চিনে মূল । মোর হাথে হারাইবে জাতি, প্রাণ, কুল ॥৯০ ইহা বলি পাঠাইল আপনার দূত। কহিল ঠাকুর-অাগে—শুনে শচীসুভ ॥৯১৷৷ অধিক করয়ে হরিনাম-সঙ্কীৰ্ত্তন। বাহু তুলি’ হরিহরি বোলে ঘনে ঘন ॥৯২ సి দ্বিগুণ করিয়া প্রেমা বঢ়ায় উল্লাস । *হরিহরি বোল’-ধবলি পরশে অণকাশ ॥৯৩ পাপিষ্ঠ হৃদয় তাহ সহিবারে নারে। চলিলা সে দুই ভাই বাহির-তুয়ারে ॥৯৪৷৷ ক্ৰোধে রাঙ্গ আঁখি তার অরুণ-বদন । পড়িতে পড়িতে যায় অঙ্গের বসন ॥৯৫৷৷ টলবল করি’ যায়--ক্রোধে অচেতন । থাক থাক করি’ বোলে তর্জন গর্জন ॥৯৬৷৷ সম্মুখে দাড়াঞা তার চারিপালে চায় । আপন চিলিয়া যাহ—বড়-ডাকে কয় ॥৯৭॥ অারে রে । লামনা তোর জিতে লাগে শলি । ইহ বলি দুৰ্ব্বাক্য-বচনে পাড়ে গালি ॥৯৮৷৷ ক্রোঃ দেখি’ নদিয়ার লোক তরাসিত । চারিপানে চাহি’ সম্ভে হৈল। ভিতাভিত ॥৯৯ অদ্বৈত-আচাৰ্য্য-গোসাঞি আর নিভ্যানন্দ । হরিদাস, শ্ৰীনিবাস, মুরারি, মুকুন্দ ॥১০০ আপনে ঠাকুর সেই বিশ্বস্তররায় । নিজগণ সঙ্গে করি’ হরিগুণ গায় ॥১০১৷৷ হরিগুণ গায় সুখে— নাহি অলসাদ । জগাই মাপাই ক্রোপে করে পরমাদ ॥১০২৷৷ ক্রোধে দুই ভাই ধায় করে করি’ দণ্ড । । সম্মুখে পাইল ভাঙ্গ কুম্ভ একখণ্ড ॥১০৩ কলসীর কাণ সে ফেলিয়া মারে ক্রোধে । নির্ভয়ে বাজিল নিত্যানন্দের মস্তকে ॥১০৪৷৷ নির্ভরে বাজিল কাণ—রক্ত পড়ে পারে। দেখি সৰ্ব্বনিজজন হাহাকার করে ॥১০৫৷৷ দেখিয়া ঠাকুর চিত্তে বড় পাইল দুখ । ডাকিয় কহিল সেই পাপিষ্ঠ-সম্মুখ ॥১০৬৷৷ তোমরা দোহারাধিক দুরপচার নাহি। পাপ বলি’ যার নাম সঞ্চারয়ে মহাঁ ॥১০৭৷৷ সকল করিলা মাত্র—নাহি কর এক । এখনে করিলে সেই দেখ পরভেখ ॥১০৮৷৷ ইহা বলি’ মহাপ্রভু লিভ্যানন্দ কাছে। আপল বসন তার শিরে বান্ধিয়াছে ॥১০৯৷৷