পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত । [1884, 2nd Feb ছভুথ ভাগ-দশম খণ্ড। দক্ষিণেশ্বরমন্দিরে রাখাল, লাটু, মাষ্টার, মহিমা প্রভৃতি সঙ্গে । প্রথম পরিচ্ছেদ । শ্রীরামকৃষ্ণের হস্তে আঘাত । সমাধি ও জগন্মাতার সহিত কথা । ] ঠাকুর দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে সেই ঘরে অবস্থিতি করিতেছেন। বেলী তিনটা । শনিবার, ২০শে মাঘ, ১২৯০ সাল। মাঘ শুক্লা ষষ্ঠী । এক দিন ঠাকুর ভাববিষ্ট হইয়া ঝাউতলার দিকে যাইতেছেন : সঙ্গে কেহ না থাকাতে রেলের কাছে পড়িয়া যান। তাহাতে র্তাহার বাম হাতের হাড় সরিয়া যায় ও খুব আঘাত লাগে । মাষ্টার কলিকাতা হইতে ভক্তদের নিকট হইতে বাড়, প্যাড ও ব্যাণ্ডেজ আনিয়াছেন । শ্ৰীযুক্ত রাখাল, মহিমাচরণ, হাজরা প্রভৃতি ভক্তের ঘরে আছেন । মাষ্টার আসিয়া ভূমিষ্ঠ হইয়া ঠাকুরের চরণ বন্দনা করিলেন। শ্রীরামকৃষ্ণ । কিগে ! তোমার কি ব্যারাম হয়ে ছিল ? এখন সেরেছে তো ? ( মাস্টার বলিতেছেন, আজ্ঞা তা । ) শ্রীরামকৃষ্ণ (মহিমার প্রতি ) ৷ চাগা, ‘আমি যন্ত্র তুমি যন্ত্রা, তবে এ রকম হলো কেন ? ঠাকুর তক্তার উপর বসিয়া আছেন । মহিমাচরণ নিজের তীর্থদর্শনের গল্প করিতেছেন। ঠাকুর শুনিতেছেন। দ্বাদশ বৎসর পূর্বে তীর্থদর্শন। মহিমাচরণ। কাশী সিক্রোলের একটী বাগানে একটী ব্রহ্মচারী দেখলাম। বল্লে, এ বাগানে কুড়ি বছর আছি । কিন্তু কার পাগান জানে না। আমায় জিজ্ঞাসা করলে, নৌকরী করে বাবু ? আমি বল্লাম, ‘না । তখন বলে—“কেয়া, পরিব্রাজক হায় ? : - “নৰ্ম্মদাতীরে একটা সাধু দেখলাম, অন্তরে গায়ত্ৰী জপ কচ্ছেন – শরীরে পুলক হচ্ছে ! আবার এমন প্রণব আর গায়ত্রী উচ্চারণ করেন, যে যারা বসে থাকে, তাদের রোমাঞ্চ আর পুলক হয় !