পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর। ঠাকুরদাদা, মহিমারাম প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে । ৯৫ ঠাকুর কয়েকটা ভক্তকে বলিলেন—পঞ্চবটীতে হঠযোগীকে দেখে এসো, কেমন লোকটী । -"nasmo - দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ। [ ঠাকুরদাদা’ ও মহিমাচরণের প্রতি উপদেশ ৷ ] ঠাকুর দাদা দু একটি বন্ধুসঙ্গে আসিয়া ঠাকুরকে প্রণাম করিলেন । বয়স ২৭৷২৮ হইবে । বরাহনগরে বাস । ব্রাহ্মণ পণ্ডিতের ছেলে,— কথকতা অভ্যাস করিতেছেন। সংসার ঘাড়ে পড়িয়াছে,—দিন কতক বৈরাগ্য হইয়া নিরুদ্দেশ হইয়াছিলেন। এখনও সাধন ভজন করেন। শ্রীরামকৃষ্ণ । তুমি কি হেঁটে আসছে ? কোথায় বাড়ী ? ঠাকুরদাদা। আজ্ঞা হুঁ ; বরাহনগরে বাড়ী । শ্রীরামকৃষ্ণ । এখানে কি দরকার ছিল ? ঠাকুরদাদা। আজ্ঞা, আপনাকে দর্শন করতে আসা। তাকে ডাকি,— মাঝে মাঝে অশান্তি হয় কেন ? হু পাচ দিন বেশ আনন্দে যায়,—তার পর অশান্তি কেন ? [ কারিকর ; মন্ত্রে বিশ্বাস ; হরিভক্তি ; জ্ঞানের দুট লক্ষণ । ] শ্রীরামকৃষ্ণ । বুঝেছি,—ঠিক পড়ছে না। কারিকর দাতে দাত বসিয়ে দেয়—তা হলে হয়—একটু কোথায় আট্‌কে আছে। ঠাকুরদাদা। আজ্ঞ, এইরূপ অবস্থাই হয়েছে ! শ্রীরামকৃষ্ণ । মন্ত্র নিয়েছ ? ঠাকুরদাদ। আজ্ঞা, হয়েছে। শ্রীরামকৃষ্ণ মিন্ত্রৈ বিশ্বাস আছে ? ঠাকুরদাদার বন্ধু বলিতেছেন—ইনি বেশ গান গাইতে পারেন। ঠাকুর বলিতেছেন—একটা গাও না গো । ঠাকুরদাদা গাইতেছেন— প্রেম-গিরি-কন্দরে, যোগী হয়ে রহিব। আনন্দনিঝর পাশে যোগধ্যানে থাকিব ॥ তত্বফল আহরিয়ে জ্ঞান-ক্ষুধা নিবারিয়ে, বৈরাগ্য-কুসুম দিয়ে শ্ৰীপাদপদ্ম পূজিব। মিটাতে বিরহ-তৃষা কূপ জলে আর যাব না, হৃদয়-করঙ্গ ভরে শাস্তিবারি তুলিব। কছু ভাব শৃঙ্গ পরে, পদাঘৃত পান করে, হাসিব কাদিব নাচিব গাইব ।