পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা—বলরামমন্দিরে। পুনর্বাত্রাদিবসে ভক্তসঙ্গে । ১২৫ ছেলে দ্বার বাবু সঙ্গে করে এনেছিল। ম্যাগাজিনের সাহেবদের সঙ্গে মোকদ্দমা হবার যোগাড় হয়েছিল। তাই মাইকেলকে এনে বাবুরা পরামর্শ করছিল । “দপ্তরখানার সঙ্গে বড়ঘর। সেইখানে মাইকেলের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। আমি নারায়ণ শাস্ত্রীকে কথা কইতে বল্লাম। সংস্কৃতে কথা ভাল বলতে পারলে না। ভুল হতে লাগল। তখন ভাষায় কথা হল । “নারায়ণ শাস্ত্রী বল্লে, ‘তুমি নিজের ধৰ্ম্ম কেন ছাড়লে । মাইকেল পেট দেখিয়ে বল্লে, পেটের জন্য—ছাড়তে হয়েছে! “নারায়ণ শাস্ত্রী বল্লে, “যে পেটের জন্য ধৰ্ম্ম ছাড়ে, তার সঙ্গে কথা কি কইব । তখন মাইকেল আমায় বল্লে, “আপনি কিছু বলুন । “আমি বল্লাম, ‘কে জানে কেন আমার কিছু বলতে ইচ্ছা কচেছ না। আমার মুখ কে যেন চেপে ধরছে ? [ কামিনীকাঞ্চন পণ্ডিতকেও হীনবুদ্ধি করে। বিষয়ীর পূজাদি । ] চৌধুরী বাবুর ঠাকুরকে দর্শন করিতে আসিবার কথা ছিল । মনোমোহন। চৌধুরী আসবেন না । তিনি বল্লেন, ফরিদপুরের সেই বাঙ্গাল ( শশধর ) আসবে,—তবে যাব না । শ্রীরামকৃষ্ণ । কি হানবুদ্ধি !—বিদ্যার অহঙ্কার, তার উপর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী বিবাহ করেছে,—‘ধরাকে সর। মনে করেছে।’ চৌধুরী এম, এ, পাশ করিয়াছেন। প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর খুব বৈরাগ্য হইয়াছিল । ঠাকুরের কাছে দক্ষিণেশ্বরে প্রায় যাইতেন। আবার তিনি বিবাহ করিয়াছেন । তিন চার শত টাকা মাহিয়ানা পান । শ্রীরামকৃষ্ণ ( ভক্তদের প্রতি ) । এই কামিনীকাঞ্চনে আসক্তি মানুষকে হীনবুদ্ধি করেছে। হরমোহন যখন প্রথমে গেল, তখন বেশ লক্ষণ ছিল। দেখ বার জন্য আমি ব্যাকুল হতাম। তখন বয়স ১৭১৮ হবে। প্রায় ডেকে ডেকে পাঠাই, আর যায় না। এখন মাগ কে এনে আলাদা বাসা করেছে! মামার বাড়ীতে ছিল, বেশ ছিল । সংসারের কোন ঝঞ্ঝাট ছিল না। এখন আলাদা বাসা করে পরিবারের রোজ বাজার করে (সকলের হাস্য ) ; সেদিন ওখানে গিয়েছিল। আমি বল্লাম,