পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/১৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>○8 শ্ৰী শ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত । [ 1884, 3rd August. মত, নিজেও পারে যান, আবার অনেক লোককে পার করে নিয়ে যান। ঠাকুর এইরূপে কি নিজের অবস্থা বর্ণনা করিতেছেন ? বলিতেছেন— [ পরমহংস—নিরাকারবাদী ও সাকারবাদী। ঠাকুরের ব্ৰহ্মজ্ঞানের পর ভক্তি। নিত্যলীলাযোগ। ] “পরমহংস—নিরাকারবাদী আবার সাকারবাদী । নিরাকারবাদী যেমন ত্রৈলঙ্গ্য স্বামী । এরা আগুসারা—নিজের হ’লেই হ’ল । “ব্ৰহ্মজ্ঞানের পরও যার সাকারবাদী, তারা লোকশিক্ষার জন্ত ভক্তি নিয়ে থাকে। যেমন কুস্ত পরিপূর্ণ হ’ল,”অন্য পাত্রে জল ঢালাচালি করছে। “এরা যে সব সাধন করে ভগবানকে লাভ করেছে, সেই সকল কথা লোকশিক্ষার জন্য বলে—তাদের হিতের জন্য । জলপানের জন্য অনেক কষ্টে কূপ খনন করলে—ঝুড়ি কোদাল লয়ে। কূপ হয়ে গেল, কেউ কেউ কোদাল আর আর যন্ত্র কূপের ভিতরই ফেলে দেয়—আর কি দরকার । কিন্তু কেউ কেউ কাধে ফেলে রাখে, পরের উপকার হবে বলে। “কেউ আম লুকিয়ে খেয়ে মুখ পুছে । কেউ অন্য লোককে দিয়ে খায়—লোকশিক্ষার জন্য আর তাকে আস্বাদন করবার জন্য। ‘চিনি খেতে ভালবাসি’ । “গোপীদের ও ব্রহ্মা জ্ঞান ছিল । কিন্তু তার ব্রহ্মজ্ঞান চাইত না। তারা কেউ বাৎসল্যভাবে, কেউ সখ্যভাবে, কেউ মধুরভাবে, কেউ দাসীভাবে, ঈশ্বরকে সম্ভোগ করতে চাইত। [ কীৰ্ত্তনানন্দে ৷ শ্ৰীগৌরাঙ্গের নাম ও মায়ের নাম । ] শিবপুরের ভক্তেরা গোপীযন্ত্র লইয়া গান করিতেছেন। প্রথম গানে বলিতেছিলেন, “আমরা পাপী আমাদের উদ্ধার কর’। শ্রীরামকৃষ্ণ ( ভক্তদের প্রতি ) ৷ ভয় দেখিয়ে—ভয় পেয়ে-ভজন, প্রবর্তকের ভাব। তাকে লাভ করার গান গাও। আনন্দের গান! (রাখালের প্রতি) নবীন নিয়োগীর বাড়ীতে সে দিন কেমন গান ক’রছিল, “হরিনাম মদিরায় মত্ত হও —’ - “কেবল অশান্তির কথা ভাল নয় । তাকে লয়ে আনন্দ—তাকে লয়ে মাতোয়ার হওয়া ।