পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/২৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२७७ äräläfooto s 1884, 5th October. “সে আমায় বলে, আপনি সবই (অর্থাৎ অবতার) । যার যা ধারণা, সে তাই বলে। কেউ বলে, এমনি শুধু সাধু ভক্ত । “যেটি বারণ করে দিয়েছি, সেট বেশ ধারণা করে। পরদা গুটোতে বল্লাম । তা গুটোলে না । “গেরো দেওয়া, সেলাই করা, পরদা গুটোনে, দোর বাস্ক চাবি দিয়ে বন্ধ করা, এ সব বারণ করেছিলাম—তাই ঠিক ধারণা। যে ত্যাগ করবে, তার এই সব সাধন করতে হয়। সন্ন্যাসীর পক্ষে এই সব সাধন । “সাধনের অবস্থায় ‘কামিনী’ দাবানলস্বরূপ-—কালসাপের স্বরূপ ! সিদ্ধ অবস্থায় ভগবান দর্শনের পর—তবে মা আনন্দময়ী ! তবে মার এক একটা রূপ বলে, দেখ বে।” কয়েক দিন হইল, ঠাকুর নারা’ণকে কামিনী সম্বন্ধে অনেক সতর্ক করেছিলেন । বলেছিলেন—“মেয়ে মানুষের গায়ের হাওয়া লাগবে না ; মোট কাপড় গায়ে দিয়ে থাকবে, পাছে তাদের হাওয়া গায় লাগে,— আর মা ছাড়া সকলের সঙ্গে, আটহাত, নয় দু হাত, নয় অন্ততঃ এক হাত, সৰ্ব্বদা তফাৎ থাকবে । শ্রীরামকৃষ্ণ (মণির প্রতি) । তার মা নারা’ণকে বলেছে, তাকে দেখে আমরাই মুগ্ধ হই, তুইত ছেলে মানুষ । আর সরল না হলে ঈশ্বরকে পা ওক্স। মাক্স না । নিরঞ্জন কেমন সরল ! মণি । আজ্ঞা, হা । [ নিরঞ্জন, নরেন্দ্র কি সরল ? ] শ্রীরামকৃষ্ণ । সে দিন কলকাতা যাবার সময় গাড়ীতে দেখলে না ? সব সময়েই এক ভাব—সনৰ ল । লোক ঘরের ভিতর এক রকম, আবার বাড়ীর বাহিরে গেলে আর এক রকম হয়। নরেন্দ্র এখন ( বাপের মৃত্যুর পর ) সংসারের ভাবনায় পড়েছে। ওর একটু হিসাব বুদ্ধি আছে। সব ছোকরা এদের মত কি হয় ? [ শ্রীরামকৃষ্ণ নবীননিয়োগীর বাড়ী । নীলকণ্ঠের যাত্রা । ] “নীলকণ্ঠের যাত্রা আজ শুনতে গিছলাম—দক্ষিণেশ্বরে। নবীন নিয়োগীর বাড়ী । সেখানকার ছোড়া গুনো বড় খারাপ । কেবল এর নিন্দা ওর নিন্দা ! ও রকম স্থলে ভাব সম্বরণ হয়ে যায় ৷ ”