পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/৩১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミb"> àäätofoto [1885, 9th August. থাকের ভক্ত আসবে । যাই দেখি গৌরাঙ্গরূপ সামনে এসেছেন, অমনি বুঝতে পারি, গৌরভক্ত আসছে। যদি শাক্ত আসে, তা হলে শক্তিরূপ,—কালীরূপ—দর্শন হয় । “কুঠার উপর থেকে আরতির সময় চেচাতাম, ‘ওরে তোরা কে কোথায় আছিস আয় ।” দ্যাখে, এখন সব ক্রমে ক্রমে এসে জুটছে ! “এর ভিতর তিনি নিজে রয়েছেন-–যেন নিজে থেকে এই সব ভক্ত লয়ে কাজ করছেন । “এক এক জন ভক্তের অবস্থা কি আশ্চর্য্য । ছোট নবেন—এর কুস্তক আপনি হয় ! —আবার সমাধি ! এক এক বার কখন কখন আড়াই ঘণ্ট ! কখনও বেশী । কি আশ্চৰ্য্য ! “সব রকম সাধন এখানে হয়ে গেছে—জজ্ঞানক্ষোগ ভক্তিঘোগ কৰ্ম্ম ঘোগ । হটলোগ পৰ্য্যন্ত—আয়ু বাড়াবার জন্য । এর ভিতর এক জন আছে । তা না হলে সমাধির পর ভক্তি ভক্ত লয়ে কেমন করে তাছি । কোয়ার সিং বলতে, ‘সমাধির পর ফিরে আসা লোক কখন দেখি নাই –তুমিই নানক ” [পূর্বকথা—কেশব, প্রতাপ ও কুক্‌ Cook সঙ্গে জাহাজে, ১৮৮১ ] “চার দিকে ঐহিক লোক—চণর দিকে কামিল কাঞ্চল —এতোর ভিতর থেকে এমন অবস্থা !—সমাধি, ভাব, লেগেই রয়েছে। তাই প্রতাপ (ব্রাহ্মসমাজের শ্রীপ্রতাপচন্দ্র মজুমদার)— কুক সাহেব যখন এসেছিল, জাহাজে আমার অবস্থা (সমাধি অবস্থ) দেখে বল্পে, বাবা । যেন ভূতে পেয়ে রয়েছে ! রাখাল, মাস্টার প্রভৃতি অবাক হইয়া ঠাকুর ত্রীরামকৃষ্ণের শ্ৰীমুখ হইতে এই সকল আশ্চৰ্য্য কথা শুনিতেছেন । মহিমাচরণ কি ঠাকুরের ইঙ্গিত বুঝিলেন ? এই সমস্ত কথা শুনিয়াও তিনি বলিতেছেন,—“আজ্ঞা, আপনার প্রারব্ধবশতঃ এরূপ সব হয়েছে।’ তাহার মনের ভাব,—ঠাকুর একটী সাধু বা ভক্ত। ঠাকুর র্তাহার কথায় সায় দিয়া বলিতেছেন, "হুঁ, প্রাক্তন ! যেন বাবুর অনেক বাড়ী আছে—এখানে একটা বৈঠকখানা । ভক্ত র্তার বৈঠকখান ।”