পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১০২ খ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত-৩য় ভাগ [ ১৮৮৪, ২রা মার্চ শ্রীরামকৃষ্ণ–ছুটে আছে, অস্তি আর নাস্তি, অস্তিটাই নাও না কেন ? . . . . . . সুরেন্দ্ৰ—ঈশ্বর তো ন্যায়পরায়ণ, তিনি তো ভক্তকে দেখবেন। শ্রীরামকৃষ্ণ—আইনে (শাস্ত্রে ) আছে, পূৰ্ব্ব জন্মে যারা দান টান করে তাদেরই ধন হয়! তবে কি জান ? এ সংসার তার মায়, মায়ার কাজের ভিতর অনেক গোলমাল, কিছু বোঝা যায় না ! - “ঈশ্বরের কার্য কিছু বুঝা যায় না । ভীষ্মদেব শরশয্যায় শুয়ে ; পাণ্ডবেরা দেখতে এসেছেন। সঙ্গে কৃষ্ণ । এসে খানিকক্ষণ পরে দেখেন, ভীষ্মদেব কাঁদছেন । পাণ্ডবেরা কৃষ্ণকে বললেন, কৃষ্ণ কি আশ্চৰ্য্য ! পিতামহ অষ্টবসুর একজন বসু ; এর মতন জ্ঞানী দেখা যায় না ; ইনিও মৃত্যুর সময় মায়াতে কাদছেন ! কৃষ্ণ বললেন, ভীষ্ম সে জন্য র্কাদছেন না। ওঁকে জিজ্ঞাসা কর দেখি । জিজ্ঞাসা করাতে ভীষ্ম বললেন, কৃষ্ণ ! ঈশ্বরের কার্য্য কিছু বুঝতে পারলাম না! আমি এই জন্য র্কাদছি যে সঙ্গে সঙ্গে সাক্ষাৎ নারায়ণ ফিরছেন কিন্তু পাণ্ডবদের বিপদের শেষ নাই ! এই কথা যখন ভাবি, দেখি যে তার কাৰ্য্য কিছুই বোঝবার যে নাই ! [ শুদ্ধ আত্মা একমাত্র আটল—সুমেরুবৎ ] “আমায় তিনি দেখিয়েছিলেন, পরমাত্মা, যাকে বেদে শুদ্ধ আত্মা বলে, তিনিই কেবল একমাত্র অটল সুমেরুবৎ নির্লিপ্ত, আর সুখ দুঃখের অতীত। তার মায়ার কাৰ্য্যে অনেক গোলমাল ; এটির পর ওটি, এটি থেকে উটি হবে, ও সব বলবার যো নাই।” সুরেন্দ্র (সহস্তে ) – পূর্ব জন্মে দান টান করলে তবে ধন হয়, তা হ’লে ত আমাদের দান টান করা উচিত।