পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বরমন্দিরে পণ্ডিত শশধর প্রভৃতি সঙ্গে ১১৭ ৷ § তার কষ্ট দেখে শ্ৰীমতী তাকে স্বরূপে দেখা দিলেন-আর বললেন । ‘কৃষ্ণ চিদাত্মা আর আমি চিৎশক্তি। মা তুমি আমার কাছে বর । লও। যশোদা বললেন, মা আমার ব্ৰহ্মজ্ঞান চাই না—কেবল । এই বর দাও যেন ধ্যানে গোপালের রূপ সৰ্ব্বদা দর্শন হয়, আর কৃষ্ণ- । ভক্ত সঙ্গ যেন সৰ্ব্বদা হয়, আর ভক্তদের যেন আমি সেবা করতে । পারি,—আর তার নাম গুণকীৰ্ত্তন যেন আমি সৰ্ব্বদা করতে পারি। । “গোপীদের ইচ্ছা হয়েছিল, ভগবানের ঈশ্বরীয় রূপ দৰ্শন করে। কৃষ্ণ তাদের যমুনায় ডুব দিতে বললেন। ডুব দেওয়াও যা অমনি বৈকুণ্ঠে সববাই উপস্থিত ;–ভগবানের সেই যড়ৈশ্বৰ্য্যপূর্ণ রূপ দৰ্শন হ'ল,—কিন্তু ভাল লাগল না । তখন কৃষ্ণকে তারা বললে, আমাদের গোপালকে দর্শন, গোপালের সেবা এই যেন থাকে আর আমরা কিছুই চাই না । - - “মথুরা যাবার আগে কৃষ্ণ ব্ৰহ্মজ্ঞান দিবার উদ্যোগ করেছিলেন । বলেছিলেন, আমি সৰ্ব্বভূতের অন্তরে বাহিরে আছি। তোমরা কি একটি রূপ কেবল দেখছ ? গোপীরা বলে উঠলো, “কৃষ্ণ, তবে কি আমাদের ত্যাগ ক’রে যাবে তাই ব্ৰহ্মজ্ঞানের উপদেশ দিচ্ছ’ ? “গোপীদের ভাব কি জান ? আমরা রাইয়ের, রাই আমাদের।” একজন ভক্ত—এই ভক্তের আমি কি একেবারে যায় না ? : [Sri Ramakrishna, and the Vedanta] শ্রীরামকৃষ্ণ—ও ‘আমি এক একবার যায় । তখন ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে সমাধিস্থ হয়। আমারও যায়। কিন্তু বরাবর নয় । সা রে গ মা পা ধা নি,–কিন্তু নিতে অনেকক্ষণ থাকা যায় না,—আবার নীচের গ্রামে নামতে হয়। আমি বলি মা আমায় ব্রহ্মজ্ঞান দিও না’। আগে