পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩৮ : স্ত্রীরামকৃষ্ণকথামৃত-৩য় ভাগ ( ১৮৮৪, ৯ই নভেম্বর আমি আর পরব্রহ্ম এক, মায়ার দরুণ জানতে দেয় না। । “হরিশকে বললুম, আর কিছু নয়, সোনার উপর ঝোড় কতক মাটি পড়েছে, সেই মাটি ফেলে দেওয়া। “ভক্তেরা “আমি” রাখে, জ্ঞানীরা রাখে না । কিরূপে স্বস্বরূপে থাকা যায় ন্যাংটা উপদেশ দিতো,—মন বুদ্ধিতে লয় করে, বৃদ্ধি আত্মাতে লয় করে, তবে স্বস্বরূপে থাকবে । o “কিন্তু ‘আমি থাকবেই থাকবে; যায় না। যেমন অনন্ত জলরাশি, উপরে নীচে, সম্মুখে পিছনে, ডাইনে বামে, জলে পরিপূর্ণ। সেই জলের মধ্যে একটি জলপূর্ণ কুম্ভ আছে। ভিতরে বাহিরে জল, কিন্তু তবুও কুম্ভটি আছে । “আমি” রূপ কুম্ভ । [ পূৰ্ব্বকথা-কালীবাড়িতে বজ্রপাত—ব্রহ্মজ্ঞানীর শরীর ও চরিত্র ] “জ্ঞানীর শরীর যেমন তেমনিই শরীর থাকে ; তবে জ্ঞানাগ্নিতে কামাদি রিপু দগ্ধ হয়ে যায়। কালীবাড়িতে অনেক দিন হ’লে ঝড় বৃষ্টি হ’য়ে কালীঘরে বজ্রপাত হয়েছিল । আমরা গিয়ে • দেখলাম, কপাটগুলির কিছু হয় নাই ; তবে ইস্কুগুলির মাথা ভেঙ্গে গিছিলো। কপাটগুলি যেন শরীর, কামাদির আসক্তি যেন ইস্কুগুলি । “জ্ঞানী কেবল ঈশ্বরের কথা ভালবাসে। বিষেয়ের কথা হ’লে তার বড় কষ্ট হয়। বিষয়ীরা আলাদা লোক । তাদের অবিদ্যা-পাগড়ি খসে না। তাই ফিরে ঘুরে ঐ বিষয়ের কথা এনে ফেলে । “বেদেতে সপ্ত ভূমির কথা আছে। পঞ্চম ভূমিতে যখন জ্ঞানী