পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তীয় ছি . 2. *_ ধর্মসংস্থাপনা য় সম্ভাবমি যুগে যুগে–গুহকথা । দেতো। ভক্তেয়া পদসেবা করিতেছেন। (মাষ্টারের প্রতি, সহস্তে ) “এর (পদ সেবার ) অনেক মানে আছে।” । আবার নিজের হৃদয়ে হাত রাখিয়া বলিতেছেন, “এর ভিতর যদি কিছু থাকে (পদ সেবা করলে ) অজ্ঞান অবিদ্যা একেবারে চলে যায়।” হঠাৎ শ্রীরামকৃষ্ণ গম্ভীর হইলেন, যেন কি গুহ কথা বলিবেন। শ্রীরামকৃষ্ণ (মাষ্টারের প্রতি )—এখানে অপর লোক কেউ নাই । সেদিন—হরিশ কাছে ছিল—দেখলাম–খোলটি (দেহটি ) ছেড়ে সচ্চিদানন্দ বাহিরে এল, এসে বললে, আমি যুগে যুগে অবতার ! তখন ভাবলাম, বুঝি মনের খেয়ালে ঐ সব কথা বলছি। তারপর চুপ করে থেকে দেখলাম—তখন দেখি আপনি বলছে, শক্তির আরাধনা চৈতন্যও করেছিল। ভক্তেরা সকলে অবাক হইয়া শুনিতেছেন। কেহ কেহ ভাবিতেছেন, —সচ্চিদানন্দ ভগবান কি শ্রীরামকৃষ্ণের রূপ ধারণ করিয়া আমাদের কাছে বসিয়া আছেন ? ভগবান কি আবার অবতীর্ণ হইয়াছেন ? শ্রীরামকৃষ্ণ কথা কহিতেছেন। মাষ্টারকে সম্বোধন করিয়া আবার বলিতেছেন—“দেখলাম, পূর্ণ আবির্ভাব। তবে সত্ত্বগুণের ঐশ্বৰ্য্য।” ভক্তেরা সকলে অবাক হইয়া এই সকল শুনিতেছেন। ।