পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/২৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কথা শুনিলেন। তিনি কয়দিন ধরিয়া বাগবাজার হইতে পাগলের ন্তায় । হুটে ছুটে ঠাকুর ঐরামকৃষ্ণকে দর্শন করিতে আসিতেছেন, যদি কোনও । স্ত্রীরামকৃষ্ণ ( ব্রাহ্মণী ও ভক্তদের প্রতি )–একজন এসেছিল। । খানিকক্ষণ ব’সে বলছে, যাই একবার ছেলের চাদমুখটি দেখিগে। “আমি আর থাকতে পারলাম না। বললাম, তবে রে শালা ! ওঠ, এখান থেকে ?--ঈশ্বরের চাদমুখের চেয়ে ছেলের চাদমুখ ? [ জন্ম-মৃত্যুতত্ত্ব-বাজীকরের ভেলকি ] (মাষ্টারের প্রতি)–“কি জান, ঈশ্বরই সত্য আর সব অনিত্য ! জীব, জগৎ, বাড়ি-ঘর-দ্বার, ছেলেপিলে, এসব বাজীকরের ভেলকি ! বাজীকর । কাঠি দিয়ে বাজনা বাজাচ্ছে, আর বলছে, লাগ লাগ লাগ ! ঢাকা খুলে দেখ, কতকগুলো পাখি আকাশে উড়ে গেল ! কিন্তু বাজীকরই সত্য, আর সব অনিত্য ! এই আছে, এই নাই ! / “কৈলাসে শিব বসে আছেন, নন্দী কাছে আছেন । এমন সময় একটা ভারী শব্দ হ’লো। নন্দী জিজ্ঞাসা করলে, ঠাকুর এ কিসের শব্দ হলো ? শিব বললেন, ‘রাবণ জন্মগ্রহণ করলে, তাই শব্দ। খানিক পরে আবার একটি ভয়ানক শব্দ হ’লো । নন্দ জিজ্ঞাসা করলে— "এবার কিসের শব্দ ? শিব হেসে বললেন, ‘এবার রাবণ বধ হলো ! জন্ম-মৃত্যু—এ সব ভেলকির মতো! এই আছে, এই নাই ! ঈশ্বরই সত্য আর সব অনিত্য । জলই সত্য, জলের ভুড়তুড়ি, এই আছে, এই নাই, ভূড়ভুড়ি জলে মিশিয়ে যায়,—যে জলে উৎপত্তি, সেই །སར་གཙེ as |