পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/৩২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩১ ঐন্ত্রীরামকৃষ্ণকথামৃত—৩য় ভাগ ( ১৮৮৫, ১৮ই অক্টোবর - [ বিকারী রোগীরই বিচার-পূর্ণজ্ঞানে বিচার বন্ধ হয় ] শ্রীরামকৃষ্ণ–এ সব যা কথা হচ্ছে, এ কিছুই নয়। “এ সব বিকারের রোগীর খেয়াল। বিকারের রোগী বলেছিল,— এক জালা জল খাব, এক হাড়ি ভাত খাব! বছি বললে, আচ্ছ। আচ্ছা খাবি। পথ্য পেয়ে যা বলবি তখন করা যাবে। “যতক্ষণ র্কাচ ঘি, ততক্ষণই কলকলানি শোনা যায়। পাকা হ’লে আর শব্দ থাকে না। যার যেমন মন, ঈশ্বরকে সেইরূপ দেখে। আমি দেখেছি, বড়মানুষের বাড়ির ছবি—Queen-এর ছবি—এই সব আছে। আবার ভক্তের বাড়ি—ঠাকুরদের ছবি ! “লক্ষ্মণ বলেছিলেন, রাম, যিনি স্বয়ং বশিষ্ঠদেব, তার আবার পুত্ৰশোক । রাম বললেন, ভাই যার জ্ঞান আছে তার অজ্ঞানও আছে। যার আলে। বোধ আছে, তার অন্ধকার বোধও আছে । তাই জ্ঞান অজ্ঞানের পার হও । ঈশ্বরকে বিশেষরূপে জানলে সেই অবস্থা হয়। এরই নাম বিজ্ঞান । “পায়ে কাটা ফুটলে আর একটি কাটা যোগাড় করে আনতে হয়। এনে সেই কাটাটি তুলতে হয়। তোলার পর দুইটি কাটাই ফেলে দেয় জ্ঞান কাটা দিয়ে অজ্ঞান কাটা তুলে, জ্ঞান অজ্ঞান ছুই কাটাই ফেলে দিতে হয় । “পূর্ণজ্ঞানের লক্ষণ আছে। বিচার বন্ধ হয়ে যায়। ষা বললুম, কাচ থাকলেই বিয়ের কলকলনি " * * - ডাক্তার—পূর্ণ জ্ঞান থাকে কই ? সব ঈশ্বর। তবে তুমি পরমহংসগরি কচ্চ কেন ? আর এরাই বা এসে তোমার সেবা কচ্চে কেন ? চুপ করে থাক না কেন ? &