পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/৩৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

§ কলিকাতায় খামপুকুর বাটতে ভক্তসঙ্গে স্ত্রীরামকৃষ্ণ دهه আসক্তি যার ত্যাগ হয়ে গেছে, যে ঈশ্বরেতে ষোল আনা ভক্তি দিতে পেরেছে, সেই গীতার মৰ্ম্ম বুঝেছে। গীতা সব বইটা পড়বার দরকার নাই । ‘ত্যাগী ত্যাগী বলতে পারলেই হলো।” ডাক্তার—ত্যাগী বলতে গেলেই একটা য-ফলা আনতে হয়। ’ মণি—ত য-ফলা না আনলেও হয়, নবদ্বীপ গোস্বামী ঠাকুরা বলেছিলেন । ঠাকুর পেনিটিতে মহোৎসব দেখতে গিয়েছিলেন, সেখানে । নবদ্বীপ গোস্বামীকে এই গীতার কথা বলছিলেন। তখন গোস্বামী বললেন, তগ, ধাতু ঘঙ,"ত্যাগ হয়, তার উত্তর ইন্‌ প্রত্যয় করলে তাগী হয়, ত্যাগী ও তাগী এক মানে । - ডাক্তার—আমায় একজন রাধা মানে বলেছিল। বলল, রাধা মানে কি জানো ? কথাটা উলটে নাও অর্থাৎ "ধারা, ধারা’। (সকলের হাস্য ) । ( সহাস্তে ) আজ ধারা’ পৰ্য্যন্তই রহিল । চতুর্থ পরিচ্ছেদ ঐহিক জ্ঞান বা Science ডাক্তার চলিয়া গেলেন। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের কাছে মাষ্টার বসিয়া আছেন ও একান্তে কথা হইতেছে। মাষ্টার ডাক্তারের বাড়িতে গিয়াছিলেন, সেই সব কথা হইতেছিল । মাষ্টার (স্ত্রীরামকৃষ্ণের প্রতি )—লালমাছকে এলাচের খোসা দেওয়া হচ্ছিল, আর চড়ই পাখিদের ময়দার গুলি । তা বলেন, ‘দেখলে ওরা এলাচের খোসা দেখেনি তাই চলে গেল ! আগে জ্ঞান চাই তবে ভক্তি । দুই একটা চড় ইও ময়দার ডেলা ছোড়া দেখে পালিয়ে গেল। ওদের জ্ঞান নাই তাই ভক্তি হলো না ?