পাতা:শ্রীশ্রীহরি লীলামৃত.djvu/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধ্য খণ্ড । Q8 K রাগাত্মিক রাগ ধৰ্ম্ম ওঢ়াকাদি গণ । ঠাকুর বসিয়া কহিছেন সব কথা। এর পরে নাহি কোন সাধন ভজন ॥ হেন কালে পাগল গোলোক এল তথা । মৰ্ম্ম ন জানিয়া কেহ কারে না নিন্দিবে । ঠাকুর কহিল যার নালিশ করিলি । হইলে আত্ম-বিদ্রোহ ছারে খারে যাবে ॥ তিল হ’ল কিনা হ’ল তার কি জানিলি ॥ বাহ অঙ্গ ডেরিক কপিন মালা অfর_। হেন কালে প্রণমিয় বলে সেই দাই । _সব হ’তে সবাকে করেছি অবসর। কোথায় আছেন মোর পাগল গোস(ই সত্যবাদী জিতেন্দ্রিয় হইবেক যেই । আমার জমিতে তিনি নচিয়া গাইয়া । না থাকুক ক্রিয় কৰ্ম্ম হরি তুল্য সেই ৷ তিল নষ্ট করেছিল রাখাল লইয়। কীৰ্ত্তনেতে লম্ফ করে অসন্তব কাজ । ভাঙ্গ ডাল মাটী মধ্যে পড়িয়া যা ছিল । ভীমকায় বিশেষ দেখিলে যার ল্যাজ ॥ হয়ে বৃষ্টি ডাল পুষ্টি তিল বেড়ে গেল । প্রসাদ বাটীতে কেন তারে ভাব মন্দ । নন্দরায় গোস্বামীকে তাড়াইয়া দিল । সাবধান কেহ ক’র নাহে আত্মম্বন্দ ॥ তবু তার জমিতে যথেষ্ট তিল হৈল ॥ .' .. অধিকারী পাক করে লাবড়া ব্যঞ্জন। অন্য অন্য কৃষকের যত তিলে জমি । তোজনে গোলোক মোরে করে নিবেদন ॥ কারু মোটে হয় নাই কারু বহু কমি ৷ .aক্ষানি খাইলাম তাই গোলোক দেখিল। তিল ভাঙ্গে আমি খুলী রায় করে দোষী। - সেহেতু কীৰ্ত্তন মাঝে প্রসাদ বাটিল । তবু অন্য হ’তে তিল চতুগুণ বেশী। - না জানে পাষণ্ডীগণ এই কাৰ্য্য কার। , , রায়ের দুবিঘায় ফলেছে পাঁচ সলী । * - ঈশ্বরীয় কৰ্ম্ম এই ঘটনা তাহার ॥ " আমার দুবিঘা জমি রায়দের আলি ॥ তোর। ইহা না জানিস আমি জানিয়াছি। আমার সে ক্ষেত্রে তিল হ’ল নয় সলী। গোলোক করিল যাহা অামি করিয়াছি। আসিয়াছি গোস্বামীর কথা যাব বলি ॥ শুনিয়া মতুয়াগণ র্কাদিয়া আকুল । আমি চিরদাস প্রভু দয়া কর মোরে। বলে প্রভু আমাদের বুঝিবার ভুল ৷ যবন বলিয়া ঘৃণা না কর আমারে ॥ প্রভু বলে হয় হয় না জান আপন । প্রভু হরিচাদ বলে ওহে ভক্তগণ । নিজ চক্ষে নিজ মুখ নাহি দেখ। চেন ॥ কি কহে যবন সবে করহে শ্রবণ ॥ একবার যারে যে বিশ্বাস করে মনে । গোলোক কি করে কেহ ন পাইলে দিসে । তারে অবিশ্বাস আর করে বা কেমনে ॥ এখন গৃহেতে গিয়া ভাব বসে বসে ॥ তিল গাছ ভাঙ্গিয়াছে যাহার যাহার। শুনি মতুয়ারগণ ভাসে অশ্রু জলে । জান তথা হ’তে কিবা আসে সমাচার ॥ পাগল হুঙ্কার করি জয় হরি বলে ॥ “ আট দশ দিন পরে পুকুরের পাড়ে । ভাষাছন্দে কহে কবি তারক সরকার । বসিলেন মহাপ্রভু ভূমিশয্যা ক’রে ॥ হরি হরি বল ভাই দিন নাহি তার ॥ এক এক জন করি আইল অনেকে । আদেশিল প্রভু দশুরথ মৃত্যুঞ্জয় । নালিশ করিছে তারা এল একে একে ॥ চতুৰ্ব্বিংশ বর্ষ পরে পাগল উদয় ॥ ঈশ্বরাধিকারী আর গোলোক কীৰ্ত্তনে। মহানন্দ প্রেমানন্দ বলে বার বার। তস্ত পুত্র গিরীশ মথুর দুইজনে ॥ দিন গেল গেল না মনের অন্ধকার ॥ তালুকের মহেশ আর নিবারণ বালা। হরিলীলামৃত আজ অর্ক মহানন্দ । ক্রমে ক্রমে হৈলা হরিভকতের মেলা ॥ বিরচিল তারকের হৃদে মহানন্দ ॥ মৃত্যুঞ্জয় দশরথ আর শম্ভুনাথ । মদন বদন বনমালী রঘুনাথ ॥ ক্রমাগত হইল বহুত লোক জন । নালিশ করিছে তারা আসিল তখন ॥