পাতা:শ্রীশ্রীহরি লীলামৃত.djvu/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদি খণ্ড । পরে লইলেন ভক্ত শ্রীরামলোচন । কবি কহে হরি হরি বল সৰ্ব্বজন ॥ রামলোচনের বাটা মহোৎসব ~ ও চৈতন্যবালার দর্পচূর্ণ। পয়ার। • রামলোচনের বাট স্বজাতি ভোজন । গ্রামবাসী সবে আসি করে আয়োজন। রামাগণে আসে সবে পাক করিবারে। -- চৈতন্য প্রধান জ্ঞানী গ্রামের উপরে ॥ সকলে রাখিল ভার তাহার উপর। যাহাতে হইবে এই কাৰ্যের মুসার । , - রামচাদ আর রামলোচন বিশ্বাস । ... শ্রীনবদ্বীপেতে যেন রামাই শ্ৰীবাস ॥ N .*.*. ভাই ভাই ঠিক যেন তেমতি মিলনা------- সেই দিন সেই বাট প্রভু আগমন। মহা সমারোহ’হবে স্বজাতি ভোজন। পাকশালে পাক করে যত রামাগণ ॥ এমন সময় প্রভু ভক্তগণ সঙ্গে ॥ . রামলোচনের বাট উত্তরিল রঙ্গে । স্ত্রীরামলোচন হয় কাৰ্য্যকরণাল। কার্যদক্ষ কর্তৃপক্ষ শ্রীচৈতন্যবাল।। হুকুম ক’রেছে কাৰ্য্য করিবার তরে। بن প্ৰশ্বাকে যাহা ব'লেছেন সেই তাহা করে ॥ প্রাণপণে খাটিতেছে নাহিক বিরাম। বাটীর ভিতর হইতেছে ধুমধুর্য। ... . কোন নারী কুক্ষে কুন্ত আনিতৃেছে বারি। টে কেহ কটে তরকারি। র ভারে ধৌত করিছে তণ্ডুল। য় কেহ লয় ধুতেছে ডাউল । সিল জয় হরি বোল বলে । - ভক্তগণসংকীৰ্ত্তন করে কুতুহলে। § *Co. লোক যেখানে যে ছিল। চতুককচ্ছরি হরি.বলিতে লাগিল । ” সিংহনাদে উক্তগণ বলে হরি হরি । চতুর্ভুিঞ্ছোটে-পথে হরি হরি হরি। অগণন মাগণে দিল হুলুধ্বনি । সুক্ষমদ্ভভেদ করে উঠে ধ্বনি ॥ ঠাকুর গেলেন রামলোচনের ঘরে । নাম গান পদ হয় গৃহে বহিদ্বর্ণরে। মেয়ের যতেক সবে ছিল পাকশালে । শুনে ধ্বনি সব ধনী ভাসে অশ্রুজলে । কিসের রান্না কিসের বান্না কিসের হলুদ বাটা। নয়ন জলে ভেসে যায় হলুদ বাটা পাট ॥ কুলবধু ধাইতেছে হইয়া আকুল । • বাল্য বৃদ্ধ ধাইতেছে সব সমতুল ॥ ঠাকুরে দেখিব বলে সকলের মন । পাকশালে মেয়েলোক নাহি একজন ॥ সকলে বলেছে গিয়া চৈতন্যবালায়। অদ্য বুঝি জাতিকুল নাথাকে বজায় । নিমন্ত্রিত লোক যত সবু এল এল। পাকশালে লোক নাই উপায় কি বল ॥ তাহা শুনি ক্রোধ করি বালা মহাশয়। তর্জন গর্জন করি মেয়েদেরে কয় ॥ ঠাকুরে দেখিয়া কারু নাহি স্মৃতিবাক্ । পাকশালে লোক নাই কে করিবে পাক ॥ " বালাজী করেন রাগ কেহ নাহি মানে । তর্জন গর্জন করে শুনেও না শুনে ॥ কেহ বলে শুন বলি বালা মহাশয়। জাতি গেল মান গেল কি হ’বে উপায় । , সামাজিক লোক সব হ’য়ে একতর। - সভা করি বসিলেন বাটীর ভিতর ॥ তার মধ্যে সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ বালা মহাশয়। সবে মিলে পরামিশ করিলেন সায় ॥ ঠাকুরের কাছে গিয়া করহ বারণ। এ চুপ করে থাক, কেন করে সংকীৰ্ত্তন। .কিসের বা হরি ধ্বনী কিসের কীৰ্ত্তন। চুপ ক’রে না থাকেত তাড়াও এখন ॥ সবে বলে কে বলিবে ঠাকুরের ঠাই। নিজে যান বালাজী অন্যের সাধ্য নাই ॥ । ঠাকুরের নিকটেতে যায় বলিবারে । বলিব বলিব ভাবে বলিতে না পারে ॥ এক এক বার যায় ক্রোধ করি মনে । এবার তাড়া’ব গিয়া হরি বোলা গণে ॥ ধেয়ে ধেয়ে যায় বালা অতি ক্রোধ ভরে । যেই ঠাকুরের মুখ চন্দ্র দৃষ্টি করে। আর নাহি থাকে ক্রোধ হয় মহাশান্ত । মৌন হয়ে বসে যেন নৈষ্টিক ಟ್ಗಗಳ । 3.