পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

se ভৌগোলিক বৃত্তান্ত । [ ১ম ভাঃ ৮ম অঃ — গৰ্ত্তে জল ও দুগ্ধ রক্ষিত হয়, ও রঙ্গিণ চুর্ণে চন্দ্র স্বর্ষ্যের চিত্র ভূমিতে অঙ্কিত করা হয়। ব্রতধারিণীকে শুধু উপবাস ও পরিচর্য্যা করিতে হয়, ব্রাহ্মণই পূজা করেন। স্ত্রীলোকেরা কৃষ্ণলীলার গীত গাইয়া থাকেন, স্বৰ্য্যাস্ত হইলে ব্রতধারিণী উপবেশন করেন ও প্রসাদ ভক্ষণ করেন। শ্ৰীহট্টের নগর-সঙ্কীৰ্ত্তন ও বংশীবাদন অতি প্ৰসিদ্ধ। শ্ৰীহট্টবাসীরা নিজ জিলায় যে যে স্থান তীর্থবৎ মান্ত করে, পরবর্তী অধ্যায়ে তাহ বর্ণিত হইবে। ( বিদ্যাশিক্ষা । ) আদি বিবরণ— প্রাচীন কালে হিন্দু রীত্যানুসারে গুরুগৃহে শিক্ষা সমাপন করিবার প্রথা ছিল । তাহার পরেও দেশে বিদ্যাশিক্ষার সুরীতি ছিল। কয়েক গ্রাম মধ্যেই এক বিদ্যালয় থাকিত, পণ্ডিত অথবা মৌলবী তাহাতে শিক্ষা দিতেন। কেতাবি শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে নীতি শিক্ষাও চলিত ; কোন ছাত্রের বিরুদ্ধে নীতি বিগহিত ব্যবহারের কথা শুনা গেলে কঠোর শাস্তি প্রদত্ত হইত। রেভারেও প্রাইজ সাহেবই এদেশে ইংরেজী শিক্ষাধু বীজবপন করেন ; তৎকালে একটি স্কুল ছিল বটে, কিন্তু ইহা স্থায়ী হইতে পারে নাই। উচাইলের জমিদার একজন ইংরেজী শিক্ষিত ব্যক্তি ছিলেন, তৎকালে পূৰ্ব্ববঙ্গে অল্পব্যক্তিই ইংরেজীর প্রতি অনুরক্ত ছিল । উচাইলে একটি বিদ্যালয়ও ছিল, ত্রিপুর, ময়মনসিংহ হইতেও বহু ছাত্র ঐ বিদ্যালয়ে শিক্ষিত হইয়াছিল। ঢাকার ঐতিহাসিক বিবরণের একস্থানে লিখিত আছে যে, ১৮৬৭ খৃষ্টাব্দে শ্ৰীহট্ট জিলায় ২৮টি স্কুলে ১১২৭ জন ছাত্র ছিল। এই অত্যন্ত্র ছাত্র সংখ্যার অৰ্দ্ধেক শ্ৰীহট্ট সহরে থাকিয়া শিক্ষা পাইত । * সুতরাং মফঃসলে তখন লোকের শিক্ষানুরাগ কিরূপ ছিল, ইহাতেই বুঝা যাইতেছে। পরবর্তী বিবরণ – বর্তমান গবর্ণমেণ্ট স্কুল ১৮৬৯ খৃষ্টাব্দে সংস্থাপিত হয়। এই স্কুল স্থাপিত হওয়ায় শ্ৰীহট্টবাসীর ইংরেজী শিক্ষার পথ প্রসারিত হয়। রায় সাহেব • Principal Heads of the History and statistics of the Dacca Division— 1868, p. 326, 聪 .*