পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సెby ভৌগোলিক বৃত্তান্ত । [ ১ম ভাঃ ৮ম অঃ — একটা মুদ্রাযন্ত্র স্থাপন করিয়াছেন। তাহাতেই পুস্তকাদি ছাপা হইয়া থাকে | * সাধারণ শিক্ষা প্রচার পক্ষে সংবাদ পত্রের সহায়তা সামান্ত নহে। শ্ৰীহট্ট—লংলাবাসী ৮গৌরীশঙ্কর ভট্টাচাৰ্য্য এই মহন্ধুদ্দেশ্যে পরিচালিত হইয়া সংবাদপত্রপ্রচারের সঙ্কল্প করেন। কিন্তু তৎকালে শ্রীহট্টে থাকিয়া, তাহার সঙ্কল্প সিদ্ধি হইবার সম্ভাবনা ছিল না । কাজেই তিনি কলিকাতায় গমন করেন এবং ১৮৩৯ খৃষ্টাব্দে শোভাবাজার হইতে সস্বাদভাস্কর নামক পত্রিকা বাহির করেন । এই পত্রিক সপ্তাহে তিন দিন প্রকাশিত হইত। গৌরীশঙ্করের সম্বাদভাস্কর ঈশ্বরচন্দ্রগুপ্তের সংবাদ প্রভাকরের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল। শ্রীহট্ট হইতে ১৮৭৬ খৃষ্টাব্দে সৰ্ব্বপ্রথম “শ্ৰীহট্টপ্রকাশ” প্রকাশিত হয়। লাতু নিবাসী কবি ৬প্যারীচরণ দাস অষ্ট্রপতি ইহার সম্পাদক ছিলেন। শ্ৰীহট্টে ইহার বহুল প্রচার ছিল। প্যারী বাবু একজন হৃদয়বান কবি ছিলেন, পঙ্কপুস্তক প্রথমভাগ, তৃতীয়ভাগ ও ভারতেশ্বরী কাব্য ইহার পরিচয় দিতেছে। শ্রীহট্টপ্রকাশ ছয় বৎসরকাল পূর্ণ উদ্যমে পরিচালিত হইয়াছিল। শ্ৰীহট্ট হইতে “পরিদর্শক” নামক সপ্তাহিক পত্রিকা ১৮৮০ খৃষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়। শ্ৰীহট্টের কৃতি সন্তান প্রসিদ্ধ বক্তা শ্ৰীযুক্ত বিপিনচন্দ্র পাল ও স্বদেশ প্রেমী yরাধানাথ চৌধুরীর সম্পাদকতায় ইহা বাহির হয়। কিছু দিন মধ্যেই রাধানাথ বাবু স্বয়ং এক মুদ্রাযন্ত্র আনয়ন পূর্বক একাকী সম্পাদকীয় ভার গ্রহণ করেন। পরিব্রাজক, শ্ৰীহট্টমিহির এবং শ্ৰীহট্টবাসী অল্পজীবী, শ্ৰীহট্টবাসী পরে পরিদর্শকের সহিত মিশিয়া এক হইয়া যায়। পরিদর্শক আজপৰ্য্যন্ত কোনও রূপ জীবিত অাছে। শ্ৰীহট্টের একমাত্র মাসিক পত্র “শ্ৰীহট্ট দর্পণ” ( প্রকাশিত ১৮৯৯ খৃষ্টাব্দ ) সংবাদ পত্র ।

  • ব-পরিশিষ্ট্রে মোসলমানী নাগরীর বর্ণমালা দেওয়া বাইবে।