পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তীর্থস্থান । ] ' শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত । } > ) দেবীপ্রসাদ যথার্থই দেবীর প্রসাদ ভাজন ছিলেন, নতুবা র্তাহার প্রতি মায়ের এত করূণ কেন ? যাহা হউক, ভক্ত দেবীপ্রসাদ ধনী ছিলেন, তিনি মায়ের নিত্য সেবা পূজার ব্যবস্থা করিয়া দিলেন। ইহাতেও তাহার তৃপ্তি হইল না, ( কেনই বা হইবে ) তিনি লক্ষ ইষ্টক প্রস্তুত করাইয়া মন্দির প্রস্তুত করিতে কৃতসঙ্কল্প হইলেন । কিন্তু দেবী স্বপ্নে পুনশ্চ আদেশ করিলেন ;– ‘আমি মন্দিরে থাকিব না।’ সেই ইষ্টক দ্বারা দেবীপ্রসাদ তখন প্রাচীর দিয়া ভৈরবীর স্থানটা বেষ্টন করিয়া দিলেন এবং নিকটে শিবমন্দির নিৰ্ম্মানপূৰ্ব্বক শিবপ্রতিষ্ঠা করিলেন। মায়ের তখনও লুকোচুরি ভাব, তাই ভৈরবী এই প্রচ্ছন্ন অথচ যথার্থ পীঠস্থচক নামেই পূজা পাইতে লাগিলেন।” “কিছুকাল পূর্বে এদেশে পূর্ণানন্দ নামে একজন মহাত্মা ছিলেন, ইহার প্রগাঢ় পাণ্ডিত্য এবং সাধনা সাধারণে বিদিত ছিল এবং পীঠস্থান ও সাধক _. ভক্ত | শেষাবস্থায় ইনি ব্রাহ্মানন্দপুরী নামে অভিহিত হইয়াছিলেন। ১২৮১ সালে উনি দেহত্যাগ করেন । জীবিত কালে ইনি কখন কামাখ্যায়, কখন বাণিয়াচঙ্গে এবং কখন বা গোটাটিকরে থাকিয়া সাধন ভজন করিতেন এবং একদা মণিপুর গিয়া কীৰ্ত্তিচন্দ্র মহারাজকে স্বীয় যোগবল প্রত্যক্ষ করাইয়া ছিলেন। গোটাটিকর অবস্থান কালে এই ভৈরবীর বাটিতেই তিনি অধিকাংশ সময় অতিবাহিত করিতেন। অনেক লোক র্তাহার প্রতি আকৃষ্ট হইয়াছিল এবং তাহাদের কেহ না কেহ সৰ্ব্বদাই র্তাহার সঙ্গে থাকিত ।” “একদিন ব্রহ্মানন্দপুরী রজনীযোগে সঙ্গিদিগকে লইয়া ভৈরবীর বাড়ীর ঈশান কোণাভিমুখে যাইয়া শিবটলা নামক পাহাড়ে আরোহণ করেন এবং সঙ্গিদিগকে বলেন এই স্থান অতি পবিত্র এবং মহিমাম্বিত, এই বনাচ্ছন্ন স্থানে অনাদি লিঙ্গ শিব বর্তমান আছেন। এই ভৈরবী মহাপীঠ এবং এই শিব তাহার ভৈরব ; এই সম্বন্ধে তোমরা কিছুমাত্র সন্দেহ করিবে না। যাহাদিগকে তিনি এ সকল কথা বলিয়াছিলেন, তাহাদের মধ্যে কেহ অদ্যাপি জীবিত রহিয়াছেন, কিন্তু তখন তাহার কথায় কেহ বিশেষ প্রণিধান করেন নাই, ---छ। ভরবের স্থান নির্দেশ ও পীঠ পরিচয় ।