পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/২২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় ওtধ্যায় ] বৈদেশিক উল্লেখ । 9 No শতাব্দী পূৰ্ব্বে হিউয়েন্থসাঙ্গ, শিলহট্ট রাজ্যটি সমুদ্রতীরবর্তী বলিয়া বর্ণনা করিয়াছেন। বরবক্র প্রভৃতি নদীসমূহ এই হ্রদের মধ্য দিয়া প্রবাহিত হইত। নদী প্রবাহে আনীত কর্দমরাশি দ্বারা এই হ্রদ ক্রমে ক্ৰমে শুষ্ক হইয়া অসংখ্য বিল * হইয়াছে। এই সকল বিলের কান্দি বা উচ্চস্থানস্থিত গ্রামগুলি অদ্যাপি বর্ষাকালে সমুদ্রমধ্যস্থিত দ্বীপ বলিয়া বোধ হয়। আনুমানিক শ্ৰীহট্ট জিলার প্রায় চতুর্থাংশ ৰিলওনিম্নভূমি ; ইহার সহিত ময়মনসিংহ জিলার পুর্বপ্রাস্তস্থিত । নিম্নভূমি ও ত্রিপুরা জিলার উত্তর পশ্চিম প্রাস্তস্থিত নিম্নভূমি সংযুক্ত করিলে বোধ হয় উল্লিখিত হ্রদের পরিমাণ ফল দুই সহস্র বর্গমাইল হইতেও অধিক ছিল।” * # ‘অধিক যে ছিল, তাহার সন্দেহ নাই। স্বনামগঞ্জ সবডিবিসনের অধিকাংশই জলতলে ছিল ; এখনও ইহার নিম্নভূমির পরিমাণ অল্প নহে। পূৰ্ব্বে উল্লেখ করা গিয়াছে যে, লাউড় রাজ্য হইতে সদরঘাট পৰ্য্যন্ত এক খেওয়া ছিল ; এতদ্বারা সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জের অনেকাংশ যে জলতলে ছিল, তাহার প্রমাণ হয়। যাহা হউক, যৎকালে নবদ্বীপাদি বিখ্যাত দেশগুলিও অস্তিত্বহীন অবস্থায় ছিল, হিউয়েন্থসাঙ্গ, সেই সমস্ত স্থানের কিছুমাত্র উল্লেখ না করিয়া যে একবারে তখন, সাগরতীরবর্তী শিলিচটল বা শ্ৰীহট্টের উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন, ইহ শ্ৰীহট্টের কম গৌরবের কথা নহে। শ্ৰীহট্টের ভাটেরা হইতে যে দুখানা তাম্রফলক আবিষ্কৃত হয়, যাহার বিষয় বিস্তারিতভাবে পূৰ্ব্বাধ্যায়ে কথিত হইয়াছে, অনেকের সাগরের মতে সে দুখানা তাম্রফলকই খৃষ্টজন্মের পূর্ববর্তী। আরও উল্লেখ । একখানি বিদ্যালয়-পাঠ্য পুস্তকে এ বিষয়ে লিখিত হইয়াছে,—“প্রাচীনকালে এই প্রদেশ হিন্দুরাজ কর্তৃক শাসিত হইত, কিন্তু তাহার কোন বিশেষ নিদর্শন অধুনা বর্তমান নাই। এই প্রাচীনতার প্রমাণের m ... ., 鄰 ইযুক্ত কৈলাস চন্দ্র সিংহ প্রণীত ত্রিপুরার ইতিহাস ৩য় ভাঃ ৩য় অঃ ཅུ་རྩ་ નૃ:ા