পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/২২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 শ্ৰীইটের ইতিবৃত্ত । { ২ভা: ১ম • u ജ്ജമ്മ এক নিদর্শন ভাটেরার তাম্রফলক। এই দুখান৷ তাম্রফলক ধারা ইহা নিঃসংশয়রূপে প্রমাণিত হইতেছে, ১৭ সংবতেরও পূর্ব হইতে শ্ৰীহট্ট প্রদেশের অন্ততঃ কোন কোন অংশ আধ্য নৃপতি কর্তৃক শাসিত হইত।** শ্ৰীযুক্ত স্বরূপ চন্দ্র রায় “শ্ৰীহট্টের ভূগোলে’ এবং শ্ৰীযুক্ত মৌলবী মোহাম্মদ আহমদ সাহেব "শ্ৰীহট্টাপৰ্ণ” পুস্তকে উল্লেখ করিয়াছেন যে, ভাটেরার তাম্রফলকের বয়স “তুই হাজার বংসর।” এই প্রাচীন তাম্রফলকে, কোন একটা স্থানের সীমা নির্দেশ স্থলে “সাগরপশ্চিমে” পদ পাওয়া যায়। প্রত্নতত্ত্ববিদ, পণ্ডিত ডাঃ রাজেন্দ্র লাল মিত্র মহাশয় সাগর’ শব্দে Sea(সমুদ্র) অর্থই করিয়াছেন। এতদ্বারাও পূর্বকথিত সাগরের বিদ্যমানতার প্রমান পাওয়া যাইতেছে। ঐহটের ঐ প্রদেশের ভূমির সীমা নির্দেশ স্থলে প্রাচীন দলিলপত্রে “রত্নাংভরাং” বলিয়া লিখিত আছে ও পূববর্ণমুরূপ লিখিত হয়। এই সাগরের নিদর্শন। “রত্বাং ভরাং” পদ সাগরভরটের প্রতিশবা বা পরিবত্তে ব্যবহৃত । ঐ প্রদেশে নিম্নস্থামগুলি অদ্যাপি ‘রত্নাং ভরাং বলিয়াই নির্দেশিত হইতেছে। ‘রত্নাং' নামে কোন নদী ঐ অঞ্চলে পূৰ্ব্বকালে অকিয়া বাকিয়া প্রবাহিত হইত, পরে তাহা ভরিয়া জমি হইয় গিয়াছে, এরূপ অনুমান যথার্থ নহে। একটি নদী কদাপি এরূপ ভাবে কোথাও প্রবাহিত দেখা যায় না। শ্ৰীহট্টের কথাবাৰ্ত্তায় সংস্কৃত বহুল শব্দ থাকায় সমুদ্রকে রত্নাকর বলিত বিচিত্র নহে,—স্বত্বাং স্বয়াকরেরই সংক্ষেপার্থঃস্থচক শবদ । এতৎ প্রমাণ স্বরূপ স্বপ্রসিদ্ধ ঐতিহাসিক হণ্টার সাহেবের বাক্য এস্থলে উল্লেখ করা যাইতে পারে ; তিনি বলেন—‘শ্রীহট্টের উত্তর দিগবর্তী পৰ্ব্বতের পাদদেশে সামুদ্রিক শকের নিদর্শন দৃষ্টে প্রমাণিত হয় যে, অতি পূৰ্ব্বকালে ঐ পৰ্ব্বতের নিয়ে সমুদ্রবারি d ন-আসাম প্রদেশের বিশেষ বিবরণ== ಇiT