পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/২৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত । [ २न्न उठांई >* थं: ছিলেন। * এই পূৰ্ব্বাঞ্চলীয় রাজগণের মধ্যে ত্রৈপুর বংশীয় মহারাজ অন্ততম। { কেহ কেহ বলেন যে, এই পরাজয়ের পর কৈলাড়গড় হইতে রাজপাট আধুনিক কসবা নামক স্থানে নীত হয়, এবং তাহাও পূৰ্ব্বনামানুসারে মোসলমানগণ কর্তৃক জাজিনগর নামে কথিত হইতে থাকে। কসবা শ্ৰীহট্ট জিলাধীন নহে, সুতরাং কীৰ্ত্তিধরের রাজত্ব কাল পর্য্যন্তই শ্ৰীহট্টের ইতিহাসের সহিত র্তাহাদের সম্বন্ধ । কসবাতে যে একসময় ইহঁাদের রাজধানী ছিল, তাহার বিশেষ প্রমাণও আছে। এ সময়ের পরবর্তী কালে মোসলমানদের জাজিনগর বিজয়ের যে সংবাদ পাওয়া যায়, তাহা শ্রীহট্টের কৈলাড়গড় সম্বন্ধে নহে,-—এই কসবা সম্বন্ধে। উদাহরণ স্বরূপ তুগ্রলের জাজিনগর আক্রমণের নাম কর। যাইতে পারে। মহারাজ কীৰ্ত্তিধরের পুত্রের নাম রাজস্থৰ্য্য ( আচঙ্গফা বা কুঞ্জহোম ফ' ), তদীয় মহিষী অতি গুণবতী ছিলেন ; তাহার উৎসাহে রাজ্যে শিল্পবিদ্যার বিশেষ উন্নতি হইয়াছিল। ইহার পুত্র মোহন (বা খিছুং ফা ) ; তাহার পুত্র ধৰ্ম্মপ (ড়ঙ্গ র ফ, দানকুরু ফা বা হরিরায় ) ইহাকে দ্বিতীয় ধৰ্ম্মপা বা দ্বিতীয় ভুঙ্গর ফা বলাই সঙ্গত। ইহা হইতে পৃথকত্ব স্বচনার জন্য কি পূৰ্ব্বোক্ত ধৰ্ম্মপ আদি ধৰ্ম্মপা নামে পশ্চাৎ কথিত হইয়াছেন ? যাহাই হউক, ইহঁাদের সম্বন্ধে রাজমালায় বিশেষ কিছুই লিখি ৩ হয় নাই । ইহঁাদের রাজত্ব কালে শ্ৰীহট্ট দ্বিতীয় বার মোসলমান কর্তৃক আক্রান্ত হইয়াছিল; কিন্তু সে আক্রমণ ইহঁাদের উপর হয় নাই । नबाहे নসিরউদ্দিন কর্তৃক ১২৫৩ খৃষ্টাব্দে এক্তিয়ার डकौन তুগল খ। মালিক ইয়াজবেগ বাঙ্গালার গবর্ণর নিযুক্ত হন। তিনি উড়িষ্যার ভূপতির সহিত

  • “At a time—Ghyas Addin - was employed in subduing some of the Rajas in the eastern parts of Bengal. *—Stewart's I listory of Bengal. Sect. I I I. p. 65.

+ “Of all the Governers of the first period of independence, Ghyasoodeen was the only one who ruled well. He is said to have made no distinction between the Hindoos and the Mahomedans and to have been a great benefactor to the country. He was very powerful, far he made the Rajas of Assam, Tirhoot and Tipperah pay tribute.” Barton's Bengal. chap. I v. p. 76. মার্শৰেন ইতিহাসেও এইরূপ লিখিত অাছে। বলা আবশ্বক যে, বৈদেশিক ঐতিহাসিকগণ জৈপুর বংশের অধুসিত স্থানকেই “ত্রিপুরা" বলিয়া লিখিয়াছেন।