পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৩০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় অধ্যায় ] দরবেশ শাহজালাল । , ૭૧ -— Εά كجسيمطس একটি মসজিদের দ্বারলিপিতে (৯১১ হিজরী) ১৫.৫ খৃষ্টা অঙ্কিত আছে, সুতরাং ইহা স্বপ্রসিদ্ধ সৈয়দ হুসেন শাহের সময়ে খোদিত হইয়াছিল । দরগার বৃহৎ মসজিদটি সম্রাট আরঙ্গজেবের রাজত্ব সময়ে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল, প্রস্তরলিপিতে (১৯৮৮ হিজরী) ১৬৭১ খৃষ্টাব্দ অঙ্কিত দৃষ্ট হয়। দরগার একটি মসজিদের দেওয়ালে যে প্রস্তরলিপি দৃষ্ট হয়, তাহাও উক্ত সম্রাটের সমকালীন সন্দেহ নাই, তাহাতে (১০৭৪ হিজরী) ১৬৫৭ খৃষ্টাব্দ খোদিত আছে। কিন্তু ইহা অন্ত কোন ও স্থান হইতে সংগ্ৰহ ক্রমে তথায় যোজনা করা হইয়াছে বলিয়া বোধ হয় । শাহজলালের দরগা একটি স্বন্দর স্থানে মনোরম শৈলখণ্ডের উপর দরগার দ্রব্যাদি। অবস্থিত। গুম্বজ মিনারাদি শোভিত মসজিদ, পাশ্বপ্রবাহি প্রস্রবণ ইত্যাদিতে ইহার সৌন্দৰ্য্য বৃদ্ধি পাইয়াছে। দরগার প্রাকৃতিক সৌন্দর্ঘ্য অতুল্য। দরগা-পাশ্বে উপনীত হইলে কি জানি কি কুহকে মন সহরের তীব্র কোলাহল হইতে দূরে নিভৃতে যেন চলিয়া যায়। এই মনোরম বাহসৌন্দর্ঘ্য ব্যতীত দরগায় আরও দর্শনীয় দ্রব্য আছে। হজরত শাহজলাল এদেশে আগমন কালে উঠ পক্ষির দুইটি ডিম্ব আনয়ন করিয়াছিলেন ; ইহার একটি অদ্যাপি দরগাতে দেখিতে পাওয়া মায়। তদ্ব্যতীত হজরত শাহজলালের ব্যবহার্য্য “জুলফুকার" নামক তরবারি, তদীয় নমাজের “মোসল্লা” ( মৃগ চৰ্ম্মের আসন ), এবং কাষ্ঠপাদুকা এখনও আছে ৷ * হজরত শাহজলালের ব্যবহার্য্য দুইটি তাম্র নিৰ্ম্মিত পেয়ালা পাত্র আছে, উহার চতুষ্পার্থে আরবি অক্ষরে কোরাণের “কলম” বা মন্ত্র লিখিত ; এই পেয়ালা পাত্রদ্বয় বৰ্ত্তমান সরকুম সাহেবের জিম্বায় এখনও আছে। এই সকল দ্রব্য মোসলমানগণ অতি পবিত্র জ্ঞান করেন এৰং তদ্ধৌত জল পানে অনেকের উপকার হইয়াছে বলিয়া কথিত আছে । শাহজলালের দরগার একটা ডেগ’ উল্লেখ যোগ্য। এই তাম্র নিৰ্ম্মিত —o

  • এই দ্রব্যগুলি মুফতি শ্ৰীযুক্ত নসীরউদ্দীন সাহেবের জিম্বায় সংরক্ষিত আছে।