পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৩২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় অধ্যায় ] নবাবি আমল । * * ८व्यूंद्र श्रृंॉ८श्द्र জনৈক আফগান রাজনৈতিকক্ষেত্রে বিশেষ খ্যাতি সময়ে শ্রীহট্ট । লাভ করেন। ইহার পিতামহ বেকার অবস্থায় দিল্লীতে আগমন করেন এবং পিতা বহু চেষ্টায় বেহার প্রদেশে শশিরামের শাসনকৰ্ত্তা নিযুক্ত হন। ফরিদ বাহুযুদ্ধে এক শের (সিংহ ) নিহত করিয়াছিলেন বলিয়া বেহারপতি মাহমুদ কর্তৃক শের শাহ নামে আখ্যাত হন। এই সময় লোদীবংশীয় সম্রাটগণের পতন ও মোগলদের আগমন উপলক্ষে শেরশাহ সহজেই নিজ পথ পরিষ্কার করিয়া লইতে সমর্থ হন। তিনি বেহার প্রদেশে যুদ্ধে হুমায়ুনকে পরাজিত করেন। হুমায়ুন এই অবমাননার প্রতিশোধ গ্রহণ কল্পে সৈন্তসংগ্রহ পূর্বক আগমন করেন ; কান্তকুজের নিকট শের শাহের সৈন্যসহ উহার যুদ্ধ হয় ; সেই যুদ্ধে তিনি সম্পূর্ণ পরাভূত হইয়া পলায়ন করেন, এবং শের শাহ ভারতবর্ষের সম্রাট হন। শের শাহের রাজত্ব সময় (খৃঃ ১৫৪০—১৫৪৫ ) বঙ্গদেশ প্রকৃতরূপে শাসিত হয় ; দূরবর্তী প্রদেশেও বিদ্রোহ বহ্নি প্রধূমিত হইতে পারে নাই। তাহার ও হুমায়ুনের বিগ্রহকালে দেশের স্থানে স্থানে জমিদারবর্গ স্বাধীনতা লাভের চেষ্টা করিতেছিলেন। পূর্ববঙ্গের অনেকটি জমিদার ঐ সময়ে একতাস্থত্রে আবদ্ধ হইয়া স্বাধীনতা অবলম্বন করিয়াছিলেন। ইহঁদের মধ্যে খোয়াজ ওসমান খা, খোয়াজ আলী, ফিন্তে খ এবং ময়মনসিংহের রিয়াসত আলী খাঁ, মসনদ আলী ও পূৰ্ব্ববঙ্গের জমিদার সোণাগাজী, কেদার রায় প্রভৃতি প্রধান । খোয়াজ ওসমান আফগান জাতীয় ছিলেন, তিনি রাজ্য পরিদর্শক ছিলেন বিদ্রোহ এবং কোন কারণে শ্ৰীহট্টস্থ ইটা পরগণায় গৃহ, গড় ও দমন। দীধিকাদি প্রস্তুত ক্রমে বাস করিতেছিলেন । * তৎ

  • খেয়াজওসমান খাঁর একটি দীঘী ঐস্বৰ্য্য মৌজায় অদ্য পর্য্যস্ত বৰ্ত্তমান আছে ; খোয়াজের গড়ের চিহ্নও দৃষ্ট হইয়া থাকে। ঐযুক্ত কেদারনাথ মজুমদার কৃত ময়মনসিংহের ইতিহাস ৪০ পৃষ্ঠায় লিখিত আছে,—“হুসেনশাহ ব্ৰহ্মপুত্রের পূর্বদিক জয় করিয়া ত্রিপুৱা পৰ্যন্ত অধিকার করেন ও খোজ খাকে শাসনকর্তৃত্ব পদ প্রদান করেন,