পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৩৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ অধ্যায় ] নবাবি আমল । b" —r-- ৰুদাশিলের এই দুর্গ ইংরেজ আমলেও অনেক দিন পৰ্য্যন্ত ব্যবহার্ষ্য ছিল । ১৭৯৯ খৃষ্টাব্দে আগা মোহম্মদ রেজা নামক জনৈক মোগল কতকটি লোক সংগ্রহ করতঃ কাছাড়াধিপতি মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রকে * পরাভূত করিয়া ইমাম মাধী নাম ধারণ করতঃ প্রায় দ্বাদশ শত অনুচর সহ মহোৎসাহে বিজয়গৰ্ব্বে এই কেল্লা আক্রমণ করে, পরে শ্ৰীহট্ট হইতে কল্যাণসিংহ স্ববেদার + নৃতন সৈন্য সহ আগমন করিয়া, আক্রমণকারী এই মোগলকে পরাজিত করেন। ইহার পাঁচটি কামান তাহার হস্তগত হয় ও ৯০ জন লোক বন্দী হয় ; মোগল পলায়ন করিয়াছিল, কিন্ত অবশেষে ধৃত ও বন্দী হয় ॥৪ বুদাশিলের রোমান কাথলিক খৃষ্টীয়ানগণই, নবাব আনীত পূৰ্ব্বোক্ত গোলন্দাজদের বংশধর । যখন সৌভাগ্যবঞ্চিত সিরাজউদৌল্লা বঙ্গের সিংহাসনে আরূঢ়, যে সম্রাট আলমগীর দ্বিতীয়ের সময়ে দ্বিতীয় আলমগীর দিল্লীতে নামে । সমকালবৰ্ড ফৌজদারগণ । মাত্র সম্রাট ( খঃ ১৭৫৭–১৭৫৯ ), তখন (৩০ ) নবাব শাহ মতজঙ্গ নোয়াজিস মোহাম্মদ খা বাহাদুর শ্রীহট্টের ফৌজদারের পদ প্রাপ্ত হন । ইহার নায়েব (৩১) আচল সিংহ নামে জনৈক হিন্দু ছিলেন। ইহাকে পশ্চিমাঞ্চলীয় লোক বলিয়াই বোধ হয়। বেজোড়া বাসী রামকান্ত চক্রবর্তীকে তিনি, (১৭৫৩ খৃষ্টাব্দে ) কতক ভূমি দান করেন। শ্রীহট্ট কালেক্টরীর কাগজ পত্রে “নোয়াজিস মোহাম্মদের নায়েৰ” বলিয়া র্তাহার স্পষ্ট উল্লেখ আছে । পলাশী ক্ষেত্রে বঙ্গীয় নবাব সিরাজউদৌল্লার পরাজয়ে অতঃপর যখন পরবর্তী ফৌজদারগণ বঙ্গদেশ ইংরাজ গবর্ণমেণ্টের আয়ত্ত হইয়াছে, ও ৰঙ্গীয় সন্ধি পত্রে যখন দিল্লীর ভগ্নসিংহাসনে শাহ আলম শ্ৰীহট্টের চুণার কথা । দ্বিতীয় উপবেশন করতঃ মোগল বাদশাহের শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত ৫ম খণ্ড উপসংহার বা কাছাড় অধ্যায়ে এতদ্বিবরণ ফ্রষ্টব্য। ¢ কল্যাণসিংহের অকল্যাণ বাৰ্ত্ত এই গ্রন্থের ৫ম খণ্ডের ২য় অধ্যারে বর্ণিত হইবে। § See Assam District Gazetteers. VOL. II. Chap. III. P, 39.